আজকের আলোচনাতে আমি আইবিএস এর হোমিও চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে বিস্তারিত আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।
আইবিএস এর হোমিও চিকিৎসাঃ
আইবিএস এর সফল হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট আছে। তবে হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী IBS-এর স্পেসিফিক Specific কোন মেডিসিন হয় না। এক্ষেত্রে আইবিএস কে একটা Symptom হিসেবে ধরা হয় মাত্র। রোগীর আরো এরূপ অন্যকিছু Symptom খোঁজা হয় এবং সেগুলো ওষুধের Similarity এর সঙ্গে Adjust করে দেখা হয়। এবং অবশেষে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ ঔষধটিকে রোগীর জন্য নির্বাচন করা হয়।
এবং ঔষধ নির্বাচন সঠিক হলে এবং রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে কোন বাধা রোগীর শরীরে না থাকলে এতেই রোগ আরোগ্য হয়।
এই আইবিএস এর পেছনে সাধারণত সোরা মায়াজমের ভূমিকা বেশী থাকে এবং সিফিলিটিক মায়াজমের কিছুটা সংমিশ্রণ থাকে। এই মায়াজমেটিক বিবেচনাও ঔষধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এজাতীয় রোগের ক্ষেত্রে রোগীর কনস্টিটিউশনের সাথে মার্কসল, সালফার, নাক্স ভমিকা, গ্রাফাইটিস, এসিড নাইট্রিক, নেট্রাম মিউর ইত্যাদি ঔষধের ধাতুগত লক্ষণ মিলে কিনা তা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
তবে সর্বাগ্রে হোমিওপ্যাথিক পন্থায় সম্পূর্ণ কেস টেকিং করে রোগীর আদ্যোপান্ত জেনে নিতে হয়। অন্যথায় ঔষধ সঠিক ও সাদৃশ্যপূর্ণ ঔষধ নির্বাচন করা অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে Causation কেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় Skin Eruption বা কোন ধরনের Eczima, Palliative চিকিৎসা দ্বারা চাপা পড়ে পাতলা পায়খানা হতে পারে বা আইবিএস এর কিছু Symptom দেখা দিতে পারে। যদি অন্য কোন রোগ চাপা পড়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে সালফার, সোরিনাম, পেট্রোলিয়াম, কষ্টিকাম এই জাতীয় ঔষধগুলোকে ভাবা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট কিভাবে পড়তে হয়?