বিভিন্ন প্রকার আঘাতের হোমিও চিকিৎসা

0
194

ডোনেশন করুন

Bkash বিকাশ
Nagad নগদ
Rocket রকেট

অনুদান পাঠাতে এই নম্বর(পার্সোনাল- বিকাশ, নগদ, রকেট) ব্যাবহার করুন এবং অনুদান সম্পূর্ণ করতে আপনার ফোন নম্বর, ডোনেশন এর পরিমাণ এবং ট্রানজেকশন আইডি ব্যবহার করুন।

ধন্যবাদ!

আমরা আপনার উদার দানের প্রশংসা করি। আপনার সমর্থন আমাদের উৎসাহিত করেছে!

ডোনেশন করুন

Bkash বিকাশ
Nagad নগদ
Rocket রকেট

অনুদান পাঠাতে এই নম্বর(পার্সোনাল- বিকাশ, নগদ, রকেট) ব্যাবহার করুন এবং অনুদান সম্পূর্ণ করতে আপনার ফোন নম্বর, ডোনেশন এর পরিমাণ এবং ট্রানজেকশন আইডি ব্যবহার করুন।

ধন্যবাদ!

আমরা আপনার উদার দানের প্রশংসা করি। আপনার সমর্থন আমাদের উৎসাহিত করেছে!

ভূমিকাঃ বিভিন্ন প্রকার আঘাতের হোমিও চিকিৎসা খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই, যে কোন প্রকারের পুরাতন ব্যথা বিশেষ করে যে ব্যথার মূলগত কারণ হিসেবে কোন ইনজুরি বা আঘাত এর ইতিহাস থাকে সেই ব্যাথা হোমিওপ্যাথি খুব সুন্দর ভাবে আরোগ্য করতে পারে।

যেকোনো প্রকার আঘাতের হোমিও চিকিৎসা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের জন্য সচরাচর ব্যবহৃত বিশেষ বিশেষ ঔষধের কথা উল্লেখ করব। ফলে খুব সহজেই রোগীকে আঘাতের হোমিও চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হবে।

আমি প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ হাসান মীর্জা এর বই থেকে বিভিন্য তথ্য সংগ্রহ করেছি। এবং আরো অন্যান্য পুস্তক থেকে আঘাত বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে এখানে তুলে ধরেছি।

বিভিন্ন প্রকার আঘাতের হোমিও চিকিৎসাঃ

যে কোন আঘাতের প্রাথমিক হোমিও ঔষধ আর্নিকা। কিন্তু আঘাত জনিত কানের বধিরতায় চিনিনাম সালফ।
বৃদ্ধ ব্যক্তির কানে কম শোনায় ম্যাগ কার্ব ২০০ কয়েক মাত্রাই যথেষ্ট।

আঘাত লেগে দাঁত নড়া সিফিলিনাম দুটি ডোজ দিয়ে হাইপেরিকাম ২০০। দাঁতের এনামেল এর উপর ক্যালকেরিয়া ফ্লোর খুব সুন্দর কাজ করে। তাই দাঁতের গোড়া নড়ে গেলে তা ভালো করে ক্যালকেরিয়া ফ্লোর।

আঘাতের হোমিও চিকিৎসা
আঘাতের হোমিও চিকিৎসা

মাথায় আঘাত জনিত কোন শক্ত অর্বুদ বা টিউমার- ক্যালকেরিয়া ফ্লোর।

আঘাত জনিত ভয়-ভীতি ও তৎকারনে হিমাঙ্গ বা শীতলতায় ক্যাম্ফর এক নম্বর ঔষধ।

স্তনে আঘাত কোনিয়াম। ডিম্বকোষে আঘাত লেগে কালো বর্ণের রক্ত স্রাবে মেলিলোটাস। ডিম্বকোষে অস্ত্রোপাচারের পর ব্যথা যন্ত্রণায় স্টাফিসেগ্রিয়া। মেরুদন্ডে আঘাত হাইপেরিকাম। চক্ষু তারকায় আঘাত সিম্পাইটাম। আঘাত জনিত মস্তিষ্ক প্রদাহ/মস্তিষ্ক বিকৃতি ন্যাট্রাম সালফ। ডিম্বকোষে আঘাত-সোরিনাম।
দাঁত তোলার পর রক্তস্রাবে আর্নিকা।
তড়িতাহত বা বজ্রপাত জনিত অজ্ঞান রোগীকে তৎক্ষণাৎ মরফিনাম ত্রিশ শক্তি দিন।

ধারাল অস্ত্রের আঘাতে স্ট্যাফিসেগ্রিয়া।

আঘাত লেগে হাড় ভাঙলে সিম্ফাইটাম। কেটে গেলে ক্যালেন্ডুলা মাদার বাহ্যিক প্রয়োগ।
অস্ত্রপচারের পর স্নায়ুশুলে এলিয়ান সিপা। জুতার ফোসকায় এলিয়াম সিপা। চোখে বালি পড়লে আর্নিকা।

কানে যে কোনো প্রকার আঘাতের একমাত্র ঔষধ আর্নিকা।
আঙ্গুলের আগায় আঘাত হাইপেরিকাম। আঘাত জনিত কালো রক্তস্রাব হ্যামামেলিস। অন্ডকোষে আঘাত আর্নিকা, কোনিয়াম। মেরুদন্ডে আঘাত হাইপেরিকাম। ইঁদুর/বিড়ালে কামড়ালে বা নুচে দিলে হাইপেরিকাম। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ওপিয়ম ২০০।

পাগলা কুকুরের কামড় বা যেকোন জন্তুর দংশনে কখনো আর্নিকা ব্যবহার করা উচিত নয়।

চক্ষু পল্লবে ঘুষির আঘাতে লিডাম পাল। ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে শটকা লাগলে রাসটক্স।

কোন আঘাত হেতু প্রভূত রক্তপাত ঘটলে অগ্রে চায়না তারপর আর্নিকা।

আঘাত থেকে টিউমার সৃষ্টি হলে রুটা, কোনিয়াম।
আঘাত লেগে হাড় ভেঙ্গে পুজ সঞ্চার হলে আর্নিকা।
বক্তা বা গায়কের স্বরভঙ্গে আর্জেন্ট মেটালিকাম, কস্টিকাম, অরাম ট্রাইফিলাম।

আঘাত জনিত অসাড়ে মলমূত্র ত্যাগ হলে আর্নিকা মন্ত্রবৎ কাজ করে।
শিরা বা পেশীর আঘাতে হাইপেরিকাম।
আঘাত জনিত কালো রক্ত স্রাবে হেমামেলিস।

নবজাতকের নাড়ী কাটার পর খিঁচুনি হাইপেরিকাম, বেলেডোনা।

সূঁচের সূক্ষ্ম কাজ বা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে কোন কাজ করার কারণে চোখের অসুস্থতায় রুটা।

মারাত্মক আঘাতে কেউ মৃত্যু মুখে পতিত হলে আর্নিকা। তবে এক্ষেত্রে আঘাত জনিত কারণে রক্তপাত খুব একটা থাকে না।
পেরিওস্টিয়াম এ আঘাত রূটা।

উপসংহারঃ সঠিক ভাবে ঔষধ নির্বাচন করতে পারলে আঘাতের হোমিও চিকিৎসা খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে তবুও জরুরী অবস্থায় সার্জিক্যাল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তুলতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অস্থিতন্ত্রের গঠন, কার্যকারিতা এবং হাড়ের প্রধান সমস্যা

ডা. দীপংকর মন্ডল
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ
০৩.০৩.২০২৫

এই লেখাটি আপনার উপকারে এসেছে কি? আরো নতুন লেখা তৈরির জন্য আর্থিকভাবে অবদান রাখতে পারেন। যেকোন পরিমাণ আর্থিক কন্ট্রিবিউশন  করতে নীচের ডোনেট বাটন ব্যাবহার করুন।

Previous articleবুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের পুষ্টির চাহিদা এবং যত্ন
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here