অনেকেই মনে করে থাকেন- অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস জলে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অথবা উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে-
১) কিডনির পাথর দূর হয়।
২) শরীরে জমা অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি ঝরে যায়।
উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কি হয়?
অনেকেই আছেন যারা প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু রস খেলে তা শরীরে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে। তেমনি উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা শরীরের মেদ দূর করা বা কিডনির পাথর প্রতিরোধের জন্য তেমন কোন উপকার করে না। কেননা গরমের উত্তাপে ‘ভিটামিন সি‘ এর ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়!

লেবুতে থাকা ‘ভিটামিন সি’ পরিমিত মাত্রায় গ্রহণে অন্যান্য ভিটামিনের মতোই আমাদের শরীরের কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও সুস্বাস্থ্য রক্ষা সহজ হয়। তবে যে কোন কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা ঠিক নয়। কুসুম গরম জলে নিয়মিত লেবু জল খাওয়ার কোন উপকারিতা আছে কি? চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
১) লেবুতে থাকা ভিটামিন সি নিয়মিত খেয়ে গেলে তা কিডনির পাথর দূর করে অনেকে এরকম ভাবলেও সব সময় তা হয় না। বরং এইভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে ‘ভিটামিন সি’ খাওয়া হলে তা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
২) গরম তাপে ‘ভিটামিন সি’ এর গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়। কেননা ভিটামিন সি থার্মাস্টেবল(Thermostable) নয় বরং থার্মোল্যাবাইল(Thermolabile-অনেক ঔষধ যেমন ইনসুলিন এই ধরনের। ‘দৈ’ কে তাপ দিয়ে গরম করলে এর ভেতরে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায়।) তাই উষ্ণ গরম জলে ভিটামিন সি মিশিয়ে খেলে ঐ ভিটামিনের গুণমান ঠিক থাকে না। উষ্ণ গরম জলে লেবু রস মিশিয়ে বা ভিটামিন সি রান্না করলে এর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়।
তাই মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস খাওয়া বা গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে`6 খাওয়ায় তেমন কোন উপকার হয় না। তবে নিয়মিত ভাতের সাথে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলের সঙ্গে লেবু রস মিশিয়ে খেলে তা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং জীবনীশক্তি কে সবল করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
তবে শরীরের মেদ ঝরানোর জন্য পরিশ্রম নিয়মিত শরীরচর্চা দ্বারা ফ্যাট বার্নিং করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।
আরো পড়ুনঃ ফোটা এবং ফোঁটা এর পার্থক্য কি?
ডা. দীপংকর মন্ডল।
১৮.০১.২০২৫