একই সঙ্গে একাধিক হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ করা কি ঠিক? চলুন সেই আলোচনা তে।
একাধিক হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ ঠিক কিনাঃ
আসলে এটাই সত্য যে সমানে সমানে ছাড়া যুদ্ধ হয়না। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তি ডায়নামাইজেশনের মাধ্যমে এমন স্তরে থাকে যে তাকে বাধা দিতে হলেও বিপরীতক্রমের অশুভ শক্তিকেও সেই একই স্তরের হতে হবে। তা নয়ত একটি শক্তিকৃথ ঔষধ ও অপরটি স্থুল ঔষধ একটি অপরটিকে জোরালোভাবে বাঁধা প্রদান করেনা।
সুক্ষের সঙ্গে স্থুলের যুদ্ধ সম্ভব নয়। এই কারণেই কোনো শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ক্রিয়া কোন স্থূল ভেষজ পদার্থ নষ্ট করতে পারে না।
তবে কিছু ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে যেকোনো ভেষজ সেবন করলে হোক সেটি স্থুল মাত্রায়, শরীরে তার কিছু ক্রিয়া দেখাবেই। কিন্তু তার কাজ হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধের ন্যয় অতটা গভীরতা সম্পন্ন নয়। এখানে যদি ঔষধদ্বয় সমধর্মী বা অনুপূরক বা পরিপূরক সম্বন্ধের হয় তাহলে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি দুটি ঔষধ (শক্তিকৃত ঔষধ/শক্তিকৃত ঔষধ অথবা শক্তিকৃত ঔষধ/ভেষজ) সেবন করা হয় তাহলে কি ফলাফল হতে পারে?
উদাহরণ মাধ্যমে দেখা যাকঃ
আমরা জানি যে শক্তিকৃত ঔষধ বা ভেষজ এর যে রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা আছে সেই শক্তিকৃত ঔষধ বা ভেষজ এর সেই একই রোগ আরোগ্য করার ক্ষমতা আছে। তাহলে আমরা দেখি যেঃ-
১) রিউমেক্স শুষ্ক কাশি সৃষ্টি ও আরোগ্য করতে পারে।
২) এন্টিম টার্ট শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি সৃষ্টি ও আরোগ্য করতে পারে।
এখন যদি একই সাথে রিউমেক্স ও এন্টিম টার্ট ঔষধদ্বয় সেবন করা হয় তাহলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে!
একটি শরীরে শুষ্ক কাশি উৎপাদন করতে জীবনশক্তিকে চাপ দেবে ও অন্যটি শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি সৃষ্টি করতে জীবনীশক্তি কে চাপ দেবে। এই বিপরীতমুখী চাপে পড়ে জীবনীশক্তির ক্রিয়া কি হবে তা জানা সম্ভব নয়।
এজন্যই মহাত্মা হ্যনিম্যান একই সঙ্গে একাধিক ঔষধ প্রয়োগের ফল যেহেতু অপরীক্ষিত তাই এভাবে ওষুধের ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। এইরূপ ভাবে কোন ঔষধ হয়তো পাতলা পায়খানা সৃষ্টি করে থাকে, আবার অন্য ঔষধ হয়তো প্রচণ্ড কোষ্ঠবধ্ব প্রবণ। এই দুই ঔষধ একসাথে সেবনে শরীরের মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু অনুপুরক ঔষধগুলো একটি অন্যটিকে সহায়তা করে থাকে। ঠিক যেমন পরিপূরক ঔষধ পূর্বে প্রদত্ত ঔষধটির অবশিষ্ট কার্য সমাপ্ত করতে সাহায্য করে। এই কারণেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনুপুরক, পরিপূরক ও প্রতিবিষ ঔষধের বিষয়ে জ্ঞান রাখা বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুনঃ থাইরয়েড কমানোর উপায়