কেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করবেন?
যত রকম চিকিৎসা পদ্ধতি আছে তাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায় একটি বিশদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতি আরেকটি সদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতি। বিসদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের চিকিৎসা করা হয় অর্থাৎ রোগের নাম ধরে জ্বর কাশি পেটে ব্যথা মাথা ধরা ইত্যাদি রোগের নাম ধরে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু সদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের নাম ধরে চিকিৎসা করা হয় না বরং সম্পূর্ণ রোগীর চিকিৎসা করা হয়।
জীবনীশক্তি বা ভিটাল ফোর্স আমাদের সমগ্র দেহ ও মনকে চালিত করে।এই জীবনে শক্তি বা ভিটাল ফোর্স যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে আমরা তখন রোগাক্রান্ত হই অর্থাৎ বিভিন্ন রোগ লক্ষণ আমাদের শরীরে প্রকাশিত হয়। জ্বর কাশি মাথা ব্যাথা এগুলো সাধারণত কোনো রোগ নয় রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ মাত্র।তাই হোমিওপ্যাথিতে জ্বর কাশি মাথা ব্যাথা এইরূপ অন্য যে কোন রোগের কোন চিকিৎসা করা হয় না।
চিকিৎসা করা হয় যে অশুভ শক্তি দ্বারা জীবনীশক্তি পিড়ীত হয়ে এই সমস্ত রোগ লক্ষণ তৈরি করেছে সেই জীবনীশক্তির চিকিৎসা করা হয়। জীবনী শক্তিকে অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়।এই কারণে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে সাদৃশ্য চিকিৎসা পদ্ধতি বা সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্চার বিভিন্ন নামে অভিহিত করা যায়। হোমিওপ্যাথি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক কঠিন জটিল ও পুরাতন রোগের সম্পূর্ণ আরোগ্য এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সম্ভব হয়। রোগকে রোগের মূল থেকে চিকিৎসা করা হয় তাই রোগের আরোগ্য সাধিত হয় এই চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে।
বিসদৃশ চিকিৎসা ব্যবস্থায়়় অনেক ক্ষেত্রে রোগটি চাপা পড়ে যায়় এবং পরবর্তীতে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয় । যদি চর্মপীড়া বিশদৃশ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়় তাহলে চর্মপীড়াটি চাপা পড়ে যায় । কিন্তু সদৃশ চিকিৎসা পন্থায় বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় যেহেতু রোগের চিকিৎসা করা হয় না বরং রোগীর চিকিৎসা করা হয় তাই হোমিওপ্যাথিতে রোগকে গভীর থেকে আরোগ্য করা হয় ।
এটি খুব সুন্দর চিকিৎসা ব্যবস্থা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন।
আপনার যেকোনো শারীরিক মানসিক অসুবিধা হয় একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ এর পরামর্শ নিন ।
সুস্থ থাকুন।
সুস্থ থাকুন।