ক্ষত দ্রুত আরোগ্য না হওয়ার কারণ সমূহ

0
233

আজকের আলোচনাতে আমি ক্ষত দ্রুত আরোগ্য না হওয়ার কারণ সমূহ সম্বন্ধে আলোচনা করব। তবে চলুন মূল আলোচনাতে প্রবেশ করা যাক।

ক্ষত দ্রুত আরোগ্য না হওয়ার কারণ সমূহঃ

অনেক সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষত আরগ্যে বিলম্ব হয়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে ক্ষত দ্রুত আরোগ্য না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে তা অনুসন্ধান করতে হবে।
সাধারণত ক্ষত দ্রুত আরোগ্য না হওয়ার পিছনে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে শরীরে নিহিত ধাতুগত দোষ কাজ করে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোনো ক্ষত শুকাতে দেরি হয়ে থাকে। এই সমস্ত পরিস্থিতি ছাড়া যে সমস্ত সাধারণ কারণ হেতু ক্ষত আরোগ্যে বিলম্ব হয় তা হলঃ
ক্ষত দ্রুত আরোগ্য ছবি
ক্ষত দ্রুত আরোগ্য ছবি
১) প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অভাবঃ ক্ষতস্থান যদি সর্বদা নাড়াচাড়া করা হয় যার ফলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পায় তাহলে ক্ষত আরোগ্য হতে দেরি হয়।
২) ক্ষতস্থান অতিরিক্ত ভেজানোঃ ক্ষতস্থান সর্বদা যথাসম্ভব শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। কেননা ক্ষতস্থান বারবার ভিজতে থাকলে সেই স্থান আদ্র থাকায় ক্ষত শুকাতে চায়না।
৩) জীবাণুর সংক্রমণঃ ক্ষতস্থানে জীবাণুর সংক্রমণ হলে তা দ্রুত শুকাতে চায় না। তাই ক্ষতস্থানে যেন কোনভাবেই জীবাণু সংক্রমণ না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
 ৪) বাহিরের বস্তুর অবস্থিতিঃ ক্ষতস্থানে বাহিরের কোন বস্তু বা ফরেন বডি কোনভাবে থেকে গেছে কিনা সেটি ভালো করে অনুসন্ধান করা আবশ্যক। কেননা ক্ষতস্থানে ফরেন বডির উপস্থিতি থাকলে ক্ষত সহজে আরোগ্য হতে চায় না।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস হলে জীবনী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ক্ষত সারাতে বিলম্ব হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
৬) আঘাতজনিত কারণেঃ ক্ষতস্থান নুতন করে যেন আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ক্ষতস্থানে পুনরায় আঘাত লাগার ফলে ক্ষতের আরোগ্যমুখী গতিতে বাধাপ্রাপ্তি ঘটে থাকে।
উপরোক্ত কারণগুলো ক্ষত আরোগ্য না হওয়ার যথার্থ কারণ। ক্ষত আরোগ্য হতে বিলম্ব হলে এসব কারণের ভেতর কোনটির অস্তিত্ব আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
Previous articleবিভিন্ন প্রকার ক্ষতের শ্রেণীবিভাগ
Next articleনেক্রসিস এর সংজ্ঞা ও কারণ
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here