গ্যাংগ্রিন এর কারণ, প্রকারভেদ, ও ক্লিনিক্যাল ফিচার

0
175

আজকের আলোচনাতে আমি গ্যাংগ্রিন এর কারণ, প্রকারভেদ, ও ক্লিনিক্যাল ফিচার নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।

গ্যাংগ্রিন এর সংজ্ঞাঃ

শরীরের বিশেষ কোন স্থানের কোষসমূহ মারা গিয়ে বা নেক্রোসিস অবস্থা সৃষ্টি হয়ে সেই স্থানের বেশি অংশ নষ্ট হলে তাকে গ্যাংগ্রিন বলে। গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত স্থানের কোষকলা ও তন্তু সমূহের ধ্বংসপ্রাপ্তি ঘটে থাকে, ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাংগ্রিন মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

গ্যাংগ্রিন এর প্রকারভেদঃ

গ্যাংগ্রিন সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে-
 
১)প্রাইমারি গ্যাংগ্রিন ও
২)সেকেন্ডারি গ্যাংগ্রিন 

গ্যাংগ্রিন এর কারণঃ

যে সমস্ত কারণে গ্যাংগ্রিন হয়ে থাকে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
ক) আঘাতজনিতঃ মারাত্মক ধরনের কোনো আঘাতের ফলে শরীরের কোনো স্থানের কোষকলা বা তন্তু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে গ্যাংগ্রিন হতে পারে।
খ) জীবাণুঘটিতঃ বিভিন্ন প্রকারের দূষিত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে গ্যাংগ্রিন হয়ে থাকে।
গ্যাংগ্রিন এর কারণ ছবি
গ্যাংগ্রিন এর কারণ ছবি
গ) শরীরের অভ্যন্তরীণ দোষঘটিতঃ ব্যক্তিবিশেষে কিছু দোষ শরীরে নিহিত থাকতে দেখা যায়। কিছু ব্যক্তির শরীরে ঘা পাঁচড়া সহজে শুকায় না। তাদের শরীরের নিহিত এই বিশেষ দোষ ঘা পাঁচড়া না শুকানোর ক্ষেত্রে কাজ করে। এদের শরীরে কোথাও সামান্য ক্ষত হলে তা সহজে না শুকানোর ফলে কখনো কখনো গ্যাগ্রীনে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ঘ) ডায়াবেটিসজনিতঃ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ধমনীর অসুস্থতাজনিত কারণে পায়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে।
এছাড়াও বার্ধক্যজনিত কারণে, পুষ্টিহীনতার কারণে অনেক সময় শরীরে গ্যাংগ্রিন হয়ে থাকে।

গ্যাংগ্রিন এর লক্ষণঃ

গ্যাংগ্রিন হলে সাধারণত যে সমস্ত লক্ষণাবলী প্রকাশিত হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হল।
 গ্যাংগ্রীন আক্রান্ত স্থানের স্বাভাবিক তাপ নষ্ট হয়ে সেখানে ঠান্ডা ভাব ধারণ করতে দেখা যায়।
গ্যাংগ্রিন দ্বারা আক্রান্ত স্থানের স্বাভাবিক বর্ণ নষ্ট হয়ে বিবর্ণ হয় ও কখনো কখনো বিভিন্ন রং ধারণ করে। কখনো কখনো আক্রান্ত স্থানের রং নীল হয়ে যায় বা কালো রং ধারণ করে। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানের অনুভূতি লোপ পায়। অনেক সময় আক্রান্ত স্থানের ব্যথাবোধ থাকে না। গ্যাংগ্রিন যুক্ত স্থান অনেক সময় প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং ক্ষত চারিপাশে ছড়িয়ে পড়ে ও গভীরতর হতে দেখা যায়।
Previous articleনেক্রসিস এর সংজ্ঞা ও কারণ
Next articleকার্বাংকলের ব্যবস্থাপনা, কারণ ও লক্ষণ
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here