টেস্টোস্টেরন একটি পুরুষালি হরমোন যা পুরুষের টেস্টিসের ভেতর বিদ্যমান লোবিউলসের আবরনী Septum থাকে তার থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এটি এন্ড্রোজেন গ্রুপের একটি স্টেরয়েড হরমোন। এটি নানা ধরনের পুরুষালী গঠনের পরিপুস্টতা দান করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর উপায়ঃ
যে সমস্ত কাজ করতে হবে টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর জন্য তা নিম্নরূপঃ
১) পরিমিত পরিশ্রমঃ পরিমিত পরিশ্রম শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে। পরিমিত ব্যায়াম ও পরিশ্রম এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস হয় ফলে এই হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কেমিক্যাল সমৃদ্ধ খাবার যথাসম্ভব পরিত্যাগ করতে হবে কেননা কেমিক্যাল টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।
২) পরিমিত খাদ্যাভ্যাসঃ দৈনন্দিন আহার্য খাদ্য উপাদানের মধ্যে যেন প্রোটিন, ফ্যাট এগুলোর পরিমাণ পর্যাপ্ত ও পরিমিত মাত্রায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা এগুলো Testosterone হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
জিংক সমৃদ্ধ খাবার হলঃ
সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। ডিম, বাদাম, সিম, মাশরুম ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে।
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারঃ
কলা (৩০ মিলিগ্রাম)
বাদাম(এতে ফাইবার থাকে যা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখে)
সবুজ শাক সব্জির ভেতর পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যাবে লেটুস পাতা তে। এছাড়াও গমের রুটি, আলু, আপেল, মাংস, এবং দুধে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম আছে।
এছাড়া আদা প্রচুর পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে। অশ্বগন্ধা টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা রাখে।
৩) নেশা ও মাদকদ্রব্য পরিহারঃ যে কোন প্রকারের নেশা বিড়ি, সিগারেট, গুল, তামাক, জর্দা ইত্যাদি নেশা সামগ্রী Testosterone হরমোন উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।
৪) পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করতে হবে যা আমাদের সমস্ত যান্ত্রিক কর্মক্ষমতাকে কার্যকরী রাখে। ফলে Testosterone হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
৫) সান বাথঃ পরিমিত মাত্রায় সূর্যের আলো প্রতিদিন শরীরে লাগাতে হবে। সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিনিট সকালের রোদ শরীরে লাগালে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি শরীরে উৎপাদিত হয়। আর ভিটামিন-ডি টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন এর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারি। সাধারণ স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক জীবনযাপন দ্বারাই আমরা নিজেদেরকে সবক্ষেত্রে যথাসম্ভব সুস্থ্য রাখতে পারি।
আরো পড়ুনঃ এ্যানাটমী অব টেস্টিস