ডিহাইড্রেশন কাকে বলে :
আমাদের শরীরের ভেতরে অবস্থিত পানির পরিমাণ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থেকে থাকে। অর্থাৎ আমাদের শরীরে পানির একটি স্বাভাবিক মাত্রা বা পরিমাণ থাকে। যেকোনো কারণে যদি শরীরের এই স্বাভাবিক পানির ঘাটতি স্বল্পতা দেখা দেয় তখন সেই পরিস্থিতিকে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বলে। অর্থাৎ শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির পরিমাণ কমে গেলে তাকে পানিশূন্যতা বলে। অনেক সময় সোডিয়ামের স্বল্পতার কারণে পানিশূন্যতা হয়ে থাকে।
যে সমস্ত কারণ দ্বারা আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে ডায়রিয়া, কলেরা, অতিরিক্ত পরিমাণে বমি ইত্যাদি কারণে শরীরে পানিশূন্যতা হয়ে থাকে। পাকস্থলী থেকে ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ এর মাধ্যমে খাবার প্রবেশ করে তাকে বলে পাইলোরিক স্টেনোসিস, কোন কারনে এটি বেশি পুরু হলে এটি ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশে বাধা তৈরি করে এর কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হতে পারে। প্রস্রাবের সাথে অধিক পানি শরীর থেকে বের হয়ে গেলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করার ফলে শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। যে কোনো কারণে যদি শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি বের হয়ে যায় ফলে শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয় তাকে পানিশূন্যতা বলে। এর ফলে রোগীর শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়ে থাকে ফলে রোগীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি শুষ্ক হয়ে যায়। প্রচুর পানির পিপাসা দেখা দেয়।প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, চোখ মুখ বসে যায়। অনেক সময় রোগীর বমি বমি ভাব বা বমি হতে দেখা যায়। অতিরিক্ত শারীরিক দুর্বলতা সহ আরো নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
পানিশূন্যতার চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:
পানিশূন্যতা দেখা দিলে রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে তাই দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে হবে। রোগী মুখে পানি পানে অসমর্থ হলে চিকিতসকের তত্বাবধানে দ্রুত অবস্থার উন্নতির জন্য শিরাপথে স্যালাইন ও ইলেক্ট্রোলাইট প্রয়োগ করতে হবে।