আজকের আলোচনা তে আমি তোতলামির হোমিও ঔষধ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে মূল আলোচনাতে প্রবেশ করা যাক।
ফেসবুকে একটি গ্রুপে একজন প্রশ্ন করেছিলো যে তোতলামির হোমিও ঔষধ থাকলে বলবেন।
তার উত্তরে আমি যে বলেছিলামঃ
তোতলামির হোমিও ঔষধঃ
তোতলামি প্রকৃত অর্থে একটি মানসিক বিশৃঙ্খলা অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়। শুধু ঔষধ প্রয়োগ দ্বারা অনেক সময় এই রোগ আরোগ্য হয় না।
যদি প্রকৃতই রোগীর শরীরে কোন Systemic গোলযোগ থাকে এবং তার ফলে তোতলামি দেখা দেয় তাহলে ঔষধে সেটি আরোগ্য হয় এবং তোতলামো ভালো হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তোতলামির পিছনে একপ্রকার Mental Disorder কাজ করে। তাই এসব ক্ষেত্রে রোগীকে ঔষধের পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তা রাখার বিষয় বোঝাতে হবে এবং কথা বলার সঙ্গে মানসিক স্থিতির সামঞ্জস্য রাখতে অভ্যাস করাতে হবে।
এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগীরা সাধারণত দ্রুত কথা বলে। আর এই দ্রুত কথা বলতে গিয়েই তাদের তোতলামিটা বৃদ্ধি পায়। রোগীকে বোঝাতে হবে যে, যা কিছু সে বলে যেন তা বলার আগে মনে মনে ভেবে নিয়ে ধীরে ধীরে বলে। কিছু বলার পূর্বে অন্তত মনে মনে একবার কি দুইবার তা সে ভেবে নিক যে, সে কি বলতে যাচ্ছে। তাহলে সেই কথাতে তোতলামি কম থাকবে এবং এভাবে চর্চা করতে করতে ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হবে এবং তোতলামি দূর হবে।
রোগীর অহেতুক মানসিক ভীতি কে দূর করতে হবে। রোগীকে উৎসাহ দিতে হবে। মনে বল দিতে হবে। কোনভাবেই যেন তার তোতলামি কে ব্যাঙ্গ না করা হয় । পারিবারিক বা সামাজিক উৎপীড়নের শিকার যেন সে না হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যা কোন ব্যক্তিও যেন রোগীকে উত্ত্যক্ত না করে, ব্যঙ্গ না করে, উপহাস না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে যে সে ইচ্ছা করলে বা ক্রমাগত নিজে চেষ্টা করলেই সে এই রোগ থেকে আরোগ্য হতে পারে। তবেই তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে ও রোগারোগ্য সহজ হবে।
এর সঙ্গে মুখের ও জিহ্বার কিছু ব্যায়াম করতে দেওয়া যেতে পারে। যেমন জিহ্বাটি মুখ থেকে খানিকটা বের করে চারদিকে ঘোরানো, ডাইনে-বাঁয়ে উপর-নিচে করা। এতে জিহ্বার আড়ষ্টতা কমে।
এরূপ সামগ্রিক প্রচেষ্টা দ্বারা রোগীকে আরোগ্য করার চেষ্টা করলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগারোগ্যে সফলতা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ আইবিএস এর হোমিও চিকিৎসা