নোসোড ঔষধগুলো সর্বনিম্ন কত শক্তিতে প্রয়োগ করতে হয়?

0
141

নোসোড ঔষধগুলো প্রয়োগ এর ব্যাপারে অনেকে সন্ধিহান হয়ে থাকেন যে এটি নিম্ন শক্তিতে ০/১ প্রয়োগ করবেন নাকি উচ্চশক্তিতে ০/১০ এরকম প্রয়োগ করবেন?

নোসোড ঔষধ কোন শক্তিতে প্রয়োগ করবেন?

সব নোসড মেডিসিনের শুরুই ০/১ থেকে করা যায়। কেননা মূল উপাদানের 50 সহস্র ভাগের এক ভাগ থেকে 50 সহস্রতমিক শক্তির মাদার টিংচার প্রস্তুত হয়। আর এই মাদার টিংচার কে আবারো শতভাগে বিভক্ত করেই ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির ০/১ প্রাথমিক শক্তির ঔষধ তৈরি হয়। তাও আবার সরাসরি রোগীকে প্রয়োগ না করে পানিতে প্রয়োগ করতে হয়। অর্থাৎ এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ঔষধের শক্তির এই স্তরে এসে মূল ঔষধজ উপাদানের প্রত্যক্ষ ক্রিয়া আর থাকেনা। তাই পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তির ঔষধের ০/১ ঔষধের মূল উপাদানগত কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। কিন্তু রোগীর প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রয়োজনে উচ্চশক্তি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু নিম্নশক্তি ব্যবহারে কোন ক্ষতি হবে না।

নোসোড ঔষধ ছবি
নোসোড ঔষধ ছবি

কিন্তু ল্যাকেসিস 1 মানে কি? সাপের বিষ থেকে এক পা দূরে মাত্র! শততমিক ঔষধের ৩০ শক্তি মানে তা মূল ভেষজ থেকে মাত্র 30 পা দূরে। তখন মূল ভেষজের একটা প্রবল প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে এই বিবেচনায় সাধারণত নোসড ঔষধ গুলো নিম্ন শক্তির কাছাকাছি খেতে নিষেধ করা হয়।

নোসোড ঔষধ গুলো অন্তত 200 শক্তি হলে নিরাপদ মনে করা হয়। তবে ঔষধের দোকানে কিন্তু মেডোরিনাম ৩০ শক্তিও পাওয়া যায়। এইটা পাওয়া যায় অনেকে ব্যবহারও করে থাকে। তবে সাধারণত একটু অধিক সচেতন ভাবে যারা চলতে চায় তারা ২০০ শ শক্তির কম ব্যবহার না করতে বলে এই কারণে।

আর তাছাড়া যেখানে নোসোড ঔষধ এর প্রয়োজন সেখানে রোগীর জীবনী শক্তির খুব সূক্ষ্ম পর্যায়ে অর্থাৎ মায়াজমের স্তরে বা প্রবণতা স্তরে ঔষধ দ্বারা আঘাত করার প্রয়োজন হয়। রোগ চরিত্র যেখানে জটিল, মায়াজমেটিক বাধা যেখানে প্রবল এবং লক্ষণের প্রকাশ যেখানে একপার্শ্বিক ঔষধ ছাড়া গতি নেই। এবং ঔষধের উচ্চ শক্তির প্রয়োগ ব্যতিত রোগাবস্থার সূক্ষ্ম স্তরে আঘাত হানা যায় না। তাই ধরে নেয়া হয় এই সকল ক্ষেত্রে উচ্চশক্তিই পারে রোগীর প্রবণতা স্তরে আঘাত করতে।

মেডোরিনাম, সিফিলিনাম, ব্যাসিলিনাম ইত্যাদি নোসড ঔষধ গুলো খুব সতর্কতার সাথে নির্বাচন করতে হয় এবং রোগীকে প্রয়োগ করতে হয়। কেননা এই সকল ঔষধ যেমন সঠিক প্রয়োগে আরোগ্য দায়ী ভূমিকা দেখায় ঠিক তেমনি ঔষধের ভুল বা অপপ্রয়োগ হলে মারাত্মক ধরনের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে।

আরো পড়ুনঃ হোমিওপ্যাথিক লোশন ও মলম প্রস্তুত প্রণালী

Previous articleনিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
Next articleবাচ্চার জ্বর যেন এখনই কমে যায়, জ্বর আর না আসে এইরকম ঔষধ
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here