পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবে কি?

0
158

আজকের আলোচনা তে আমি পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবে কিনা এই  বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে মূল আলোচনাতে প্রবেশ করা যাক।

পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবে কি?

ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টিজাতীয় খাবার এমনকি মিষ্টি ফলও খেতে পারেনা। কিন্তু একমাত্র পাকা পেঁপে মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত মাত্রায় খেতে পারে কিন্তু তাতে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি হয় না।
পেঁপে পাকা বা কাঁচা যেকোনো অবস্থাতেই খাওয়া যায়। পেঁপেতে প্যাপেইন নামক এক প্রকার এনজাইম থাকে যা খাদ্যের বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। হার্টের রোগী ও উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য পেঁপে খুবই উপকারী। পেঁপেতে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট(antioxidant) ত্বক ও চুলের জন্য খুবই দরকারি।
তবে পেপের এতসব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তা না হলে কিছু ক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়ার জন্য ক্ষতিও হতে পারে।
পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস
পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস
যেমন………
১) সাধারণত এক বছরের কম বয়সী শিশুদের পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়। কেননা পেঁপে একটি ফাইবার(fiber) সমৃদ্ধ খাবার। আর শিশুরা যেহেতু পানি কম পান করে তাই এটি খেলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই পেঁপে কাঁচা, পাকা অথবা রান্না করা কোনো অবস্থাতেই এক বছর বয়সের কম শিশুদেরকে খাওয়ানো উচিত নয়।
২) গর্ভবতী মায়েদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। এতে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে। পেঁপে তে থাকা ল্যাকটেজ জরায়ুর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যেমন জরায়ুর সংকোচন, অতিরিক্ত রক্তপাত ও গর্ভপাতও হতে পারে।
৩) শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের পেঁপে খেলে যদি রোগ বৃদ্ধি হয় তবে সে ক্ষেত্রে তা এড়ানো উচিত। পেঁপেতে থাকা এক প্রকার অ্যালার্জেন উপাদান অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা কে বৃদ্ধি করে থাকে।
সর্তকতাঃ পেঁপেতে বিদ্যমান নানা পুষ্টি উপাদান অনেক রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে পেঁপে ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করে থাকে। তবে অবশ্যই তা পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে। অতিরিক্ত পেঁপে খেলে তা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিপদজনক হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
Previous articleতোতলামির হোমিও ঔষধ থাকলে বলবেন
Next articleদাঁতের রোগে রেপার্টরীর(কেন্ট) কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিক
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here