হোমিওপ্যাথিতে ফাইটাম হিসেবে মাদার টিংচার ব্যবহার

0
129

ফাইটাম হিসাবে মাদার টিংচার ব্যবহার করা কি যুক্তিসংগত? আজকের আলোচনাতে তা আমার দৃষ্টিকোন থেকে বোঝার চেষ্টা করব।

ফাইটাম হিসেবে মাদার টিংচার ব্যবহারঃ

মাদার আর খাবারের ভিতরে তেমন কোন পার্থক্য নেই। কেননা খাবার যেরুপে স্থুল, মাদারও তদ্রুপ স্থূল। পুষ্টিকর খাবার খেলে যেরূপ মানুষ বল শক্তি ও পুষ্টি পায়, মাদার থেকেও ঠিক তদ্রুপ বল শক্তি ও পুষ্টি পাওয়া যায়।

বিখ্যাত ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথ- ডাঃ রবিন বর্মন স্যার ‘পিটিআরএস’ হিসেবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এভেনা স্যাটাইভা মাদার বা এই জাতীয় ঔষধের মাদার টিংচার ব্যবহারের যৌক্তিকতার পক্ষে বলেছেন।
তবে এক্ষেত্রে একটি কথা এই যে…….
রোগীর চিকিৎসার যে কোন স্তরে বা পরিস্থিতিতেই মনে আদর্শ,  সততা ও নৈতিকতাকে ধারণ করতে হবে।
ফাইটাম ছবি
ফাইটাম ছবি
ঔষধের পরিমাণ বাড়ানোটা যদি রোগীর কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে সেখানে নৈতিকতার প্রশ্ন থেকে যায়।
কিন্তু যদি সত্যিই মনে হয় যে এই রোগীর ক্ষেত্রে আমলকি মাদার, বা আলফাআলফা মাদার, অথবা এভেনা স্যাটাইভা মাদার বা যেকোনো একটি উপযুক্ত মাদার টিংচার রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জন্য সত্যিকারেই প্রয়োজন, তাহলে সীমিত পরিসরে সেই ঔষধ নির্বাচন করা মন্দ হয় না বলে মনে করি।
তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সঙ্গে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসাবে বিশেষ বিশেষ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের কথা রোগীকে বলে দিতে হবে। কেননা রোগীর শরীরে তো সত্যিই সেই পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে।
সর্বদা বিবেকের কাছে পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে । আর রোগী যেন কোনোভাবেই মনে না করতে পারে যে, ডাক্তার অপ্রয়োজনীয়ভাবে ওষুধ দিয়েছেন…….
এটিও মাথায় রাখতে হবে।
কিন্তু অন্যায্য ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে,  ইচ্ছামত, যথেষ্ট পরিমাণে মাদার টিংচার যে কোন রোগীকে দেওয়া এবং তা যদি হয় শুধুমাত্র রোগীকে বেশি ঔষধ দিয়ে বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে, তাহলে সেটি কোন মতেই ঠিক হবেনা, বরংচ গুরুতর অন্যায় হবে।
‘অর্গানন’ এর এক নম্বর সূত্রে মহাত্মা হ্যানিম্যান স্যার বলেছেন, চিকিৎসকের একমাত্র কর্তব্য- রোগীর হারানো স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার করা। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য এই আদর্শের যেন কখনো বিচ্যুতি না ঘটে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।
Previous articleডাঃ হেরিং এর আরোগ্য নীতি
Next articleসিঁদুরে এলার্জির হোমিও চিকিৎসা
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here