ফোঁড়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

0
157

ফোঁড়ার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

ফোঁড়া শুরুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে যখন ফোড়াতে পুজোৎপত্তি হয়নি উত্তাপ, লালভাব এইসব লক্ষণ সাদৃশ্যে বেলেডোনা ২০০ বা আরো উচ্চশক্তিতে ব্যবহার করলে ফোঁড়াটি আর বাড়তে পারে না।

একবার পুজোৎপত্তি হয়ে গেলে তখন আর বেলেডোনা নয়। তখন সাধারণত সেনসেশন, মডালিটি এসবের দিকে তাকিয়ে হিপার সালফ, সাইলিসিয়া, ক্যালকেরিয়া সালফ, ল্যাকেসিস এই সকল ঔষধের কথা ভাবতে হয়।

ফোড়াতে যখন পূর্ণরূপে পূঁজ সঞ্চয় হয়ে গেছে তখন কখনোই মার্ক সল ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা একবার পুজোৎপত্তি হয়ে গেলে তখন মার্কসল ব্যবহার করলে ফোড়াটি না পাকা/না বসা এইভাব নিয়ে দীর্ঘদিন রোগীকে কষ্ট দেয়।

ফোঁড়া ছবি
ফোঁড়া ছবি

তবে ফোড়াটি ফেটে গিয়ে পুঁজ ঝরতে লাগলে এবং আরোগ্যমুখী হলে তখন মার্কসল এর ব্যবহারে ফোড়াটি দ্রুত শুকিয়ে যায়।

ফোড়া বা কার্বাঙ্কল দূষিত প্রকৃতির হলে এবং রক্ত দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেখানে সাধারণত ল্যাকেসিস, পাইরোজেন, ক্যালকেরিয়া সলফ, ইচিনেশিয়া এই সকল ঔষধ কে বিবেচনা করতে হয়।

ফোঁড়াতে ঔষধের শক্তি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নিম্নশক্তির হোমিওপ্যাথিক ঔষধে ফোঁড়ার ক্ষেত্রে একরকম ক্রিয়া আর উচ্চশক্তির ঔষধে বিপরীতমুখী ক্রিয়া দেখা যায়। যে সকল ফোঁড়ার ক্ষেত্রে ঔষধের শক্তি নির্বাচনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকে সেক্ষেত্রে সাধারণত উচ্চক্রমের শক্তি ব্যবহার করাই উত্তম।

ফোড়া আরোগ্য হওয়ার পরও উক্ত স্থানে দীর্ঘদিন যাবত গুটিকা ভাব থেকে গেলে সাইলিসিয়া প্রয়োগে সেই গুটিকা ভাব দূর হয়।

হিপার সালফ এর ফোঁড়াতে খুবই স্পর্শকাতর বেদনা এবং উত্তাপে উপসম ভাবটি নিশ্চিত রূপে বর্তমান থাকে। সাইলিসিয়ার ক্ষেত্রে উক্ত পরিমান বেদনা ও যন্ত্রণা থাকে না এবং এর পূঁজ খুবই পাতলা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। ফোঁড়া পেকে গিয়ে পূঁজ উৎপাদন সম্পন্ন হয়ে গেলে অর্থাৎ ফোড়াটি পেকে গেলে তখন হিপার সালফার এর নিম্ন শক্তির ব্যবহার করাই কর্তব্য। তাতে ফোড়াটি দ্রুত আরোগ্য হয়ে যাবে।

চর্মের উপরিভাগের দিকে ফোড়াতে সাধারণত হিপার সালফ ব্যবহৃত হয়। তবে গভীর মাংসপেশীর ভেতরে ফোঁড়াতে ক্যালকেরিয়া কার্ব ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী সিফিলিনাম, কার্বলিক এসিড, ক্রোটেলাস হারিডাস, এনথ্রাসিনাম, এপিস মেল এই সকল ঔষধ লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পান খান? পান পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানেন কি?

Previous articleদাঁতের গোড়ায় পাথর জমেছে? দাঁত স্কেলিং করাবেন?
Next articleশিশুর কান্না থামানোর উপায়ঃ যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here