ফ্রাকচার এর সংজ্ঞা ও শ্রেণীবিভাগ

0
211

ফ্রাকচার কাকে বলে?

আঘাতাদি বা অন্য যে কোনো কারণবশত শরীরের কোন অস্থি সম্পূর্ণ বা অস্থির কোন অংশ ভেঙে গেলে তাকে ফ্রাকচার বলে।

ফ্রাকচার এর প্রকারভেদঃ

পরিস্থিতি ও দুর্ঘটনার ধরন অনুসারে অস্থিভঙ্গ বিভিন্ন শ্রেণীর হয়ে থাকে। নিম্নে অস্থিভঙ্গ এর শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করা হলো-

) (Simple Fracture) সরল অস্থিভঙ্গঃ শরীরের অভ্যন্তরে অস্থিভঙ্গ এমনভাবে হয়ে থাকে যে, বাইরের চামড়া অক্ষুন্ন থাকে অর্থাৎ বাইরের বায়ুর সঙ্গে ভিতরের ভগ্ন অস্থির সংযোগ স্থাপন হয় না। এরুপ অস্থিভঙ্গ কে সরল অস্থিভঙ্গ বলে।

ফ্রাকচার ছবি
ফ্রাকচার ছবি

) (Compound Fracture) যৌগিক অস্থিভঙ্গঃ অস্থিভঙ্গ যদি এমন ভাবে হয় যে তার ফলে বাহিরের বায়ুর সঙ্গে ভগ্ন অস্থির যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তাকে যৌগিক ফ্রাকচার বলে। এই প্রকার অস্থিভঙ্গ অপেক্ষাকৃত বেশি ভয়াবহ।

) (Complicated Fracture) জটিল অস্থিভঙ্গঃ যে ক্ষেত্রে ভগ্ন অস্থির সাথে তার কাছাকাছি অবস্থিত তন্তু সমূহ বিশেষ করে রক্তবাহী শিরা ও স্নায়ুসমূহ মারাত্মক আঘাত পায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাকে জটিল অস্থিভঙ্গ বলে।

) (Fomminuted Fracture) বহুখন্ডিত অস্থিভঙ্গঃ যে ক্ষেত্রে তীব্র আঘাতের দরুন শরীরের একাধিক স্থানে অস্থিভঙ্গ হয়, অথবা একটি অস্থি একাধিক স্থানে ভেঙে যায় তাকে বহুখন্ডিত অস্থিভঙ্গ বলে।

) (Impacted Fracture) অন্তপ্রবেসী অস্থিভঙ্গঃ যখন এমন হয় যে অস্থির প্রান্তভাগ আলগা হয়ে যায় না কিন্তু চাপ লেগে ভাঙ্গা হাড় একটি ভগ্নাংশের মধ্যে অন্যটি ঢুকে যায় এরফ পরিস্থিতি কে অন্তপ্রবেশী অস্থিভঙ্গ বলে।

) (Fissured Fracture) বিদারী অস্থিভঙ্গঃ আঘাতের কারণে যদি অস্থিতে চিড় ধরে বা ফেটে যায় তাকে বিদারী অস্থিভঙ্গ বলে। সাধারণত মাথার খুলির হাড়ে এই প্রকার অস্থিভঙ্গ দেখা যায়।

এছাড়াও আরও বেশকিছু প্রকারের অস্থিভঙ্গ লক্ষ্য করা যায় যেমন বক্রকায় অস্থিভঙ্গ (Oblique Fracture), মোচড়ানো অস্থিভঙ্গ (Siral Fracture), কঞ্চিকল্প অস্থিভঙ্গ (Green Stick Fracture), অসম্পূর্ণ অস্থিভঙ্গ (Incomplete Fracture),  নিম্নগ অস্থিভঙ্গ (Depressed Fracture) ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ সাদা স্রাব এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

Previous articleব্যক্তি বিষন্নতায় ভুগছে কিনা তা কিভাবে বুঝবো?
Next articleহাড় জোড়া না লাগার কারণ
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here