ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগার প্রক্রিয়া

0
113

আজকের আলোচনা তে আমি ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগার প্রক্রিয়া বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে মূল আলোচনাতে প্রবেশ করা যাক।

ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগার প্রক্রিয়াঃ

প্রাথমিক অবস্থায় ভগ্ন অস্থিকে সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় অস্থি বাঁকা অবস্থায় বা বিকৃতভাবে জোড়া লাগতে পারে।
ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগা ছবি
ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগা ছবি
সাধারণত হাড় ভেঙে যাওয়ার পর ওই ভগ্ন স্থানে এক থেকে সাত দিনের মধ্যে রক্ত ও তন্তরস জমা হয়। এর ফলে আক্রান্ত স্থানের একটি পরিবর্তন দেখা দেয়। সেখানকার তন্তসমূহ জমাট বাঁধা রক্ত কে আশ্রয় করে গড়ে ওঠে। সাথে সাথে সেখানে নতুন কৌশিক শিরার জন্ম হয়। এই জমাট রক্ত কে আশ্রয় করে নতুন জন্ম হওয়া কৌশিক শিরা ও ধমনী জমাট বাঁধারক্তকে আত্মসাৎ করে নিজের মধ্যে নিয়ে নেয়। এরপর এই কোমল তন্তকে ঘিরে অস্থির বহিরাবরণী ও মজ্জাকোষ গড়ে ওঠে।
সাধারণত আট থেকে বার দিনের মধ্যে এই গঠন সমাপ্ত হয়। এই স্থানে ক্যালসিয়াম জমে ক্রমান্বয়ে এই তন্তকোষ সমূহ কঠিন হাড়ে পরিণত হয়। ভগ্ন অস্থির বাহিরে, ভিতরে ও মজ্জাস্থানে সর্বোত্র ক্রিয়াশীল থেকে ও ভগ্ন অস্থিকে শক্তভাবে জুড়ে দেয়।
সাধারণত বার সপ্তাহের ভেতর এই ভগ্ন হাড় সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয় ও পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পায়।
Previous articleএ্যানাটমী অব টেস্টিস
Next articleহোমিওপ্যাথিতে পিত্ত পাথরের চিকিৎসা
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here