শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন

মায়াজম অর্জিত নাকি বংশানুক্রমিক?

ডা. দীপংকর মন্ডল
  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪২১ বার দেখা হয়েছে
মায়াজম অর্জিত নাকি বংশানুক্রমিক
মায়াজম অর্জিত নাকি বংশানুক্রমিক

মায়াজম অর্জিত নাকি বংশানুক্রমিক?

মহাত্মা হ্যানিম্যান এর মতে যাবতীয় রোগ ব্যাধি মায়াজমের অশুভ শক্তির প্রভাবে সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই Miasm কে চির উপবিষ, কলুষ, পুতিবাষ্প ইত্যাদিও বলা হয়ে থাকে।

হ্যানিম্যানের মতানুসারে মানুষের শরীরে তিন প্রকারের Miasm থাকে। এগুলো হলো সোরা, সিফিলিটিক ও সাইকোটিক।

এখানে লক্ষণীয় যে ‘সিফিলিস’ এবং ‘সিফিলিটিক’ Miasm কিন্তু এক নয়। ঠিক তেমনি ‘সাইকোসিস’ ও ‘সাইকোটিক’ Miasm ও এক নয়। সিফিলিস রোগটি যখন বিসদৃশ  চিকিৎসার দ্বারা আরোগ্য না হয়ে মানব শরীরের অভ্যন্তরে চাপা পড়ে এবং তার ফলে শরীরের যে দোষের সৃষ্টি হয় তাকে সিফিলিটিক মায়াজম বলে। তেমনি  সাইকোটিক বা প্রমেহ রোগ বিসদৃশ  চিকিৎসা দ্বারা চাপা পড়লে সাইকোটিক মায়াজমের সৃষ্টি হয়।

এখন এই তিনটি Miasm এর ভেতর আদি রোগবীজ সোরা বংশপরম্পরায় সেই আদিকাল থেকে প্রবাহিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ সোরা নিজ জীবনে অর্জন করা যায় না, শুধুমাত্র প্রাপ্ত করা যায়। কিন্তু সাইকোটিক ও সিফিলিটিক Miasm এক জীবনেই অর্জন করা যায়। কেননা দূষিত সঙ্গম দ্বারা কেউ যখন সিফিলিস রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং বিসদৃশ চিকিৎসা দ্বারা সেই রোগ লক্ষণ চাপা দেওয়া হয় তাহলে সেই ব্যক্তি ‘সিফিলিটিক’ দোষ অর্জন করে। তদ্রুপ একই ভাবে সাইকোসিস বা প্রমেহ রোগ চাপা দিয়ে সাইকোটিক দোষও রোগী অর্জন করতে পারে।
তাই আমরা দেখতে পাই সোরা বংশানুক্রমিক বা প্রাপ্ত আকারে প্রবাহিত হয় আর সিফিলিটিক ও সাইকোটিক Miasm অর্জিত এবং প্রাপ্ত উভয় আকারেই প্রবাহিত হয়। অতএব মায়াজম সমূহ প্রাপ্ত এবং অর্জিত উভয় প্রকারেই প্রাপ্ত হওয়া যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো পোষ্টঃ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com