শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৭ অপরাহ্ন

৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ১০ম দিনের অভিজ্ঞতা

ডা. দীপংকর মন্ডল
  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫০ বার দেখা হয়েছে
৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ১০ম দিনের অভিজ্ঞতা
৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ১০ম দিনের অভিজ্ঞতা

৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ১০ম দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। রোজগার মত আজকের শরীর চর্চাও যথা সময়ে শুরু করলাম। শরীরচর্চা কন্টিনিউ করতে মোটামুটি ভালো লাগছে। আশা রাখি এভাবে নিয়মিত চালিয়ে যেতে পারবো। কতদিন পারবো কে জানে! সময়ই বলে দেবে সেটা। বিশেষ কারণে আজকে আমার মনটা খুব একটা ভালো নেই। তারপরও যতটা সম্ভব মনকে একাগ্র করে শরীরচর্চা শুরু করছে।

শরীর চর্চার রুটিন অনুযায়ী আজকের প্র্যাকটিস গুলো গুলো হল স্কোয়াট, প্লাঙ্ক এবং জগিং। শুরুতে ওয়ার্ম আপ করে শরীরকে এক্সারসাইজের জন্য প্রস্তুত করে নিলাম। এরপর স্কোয়াট শুরু করলাম। নির্দিষ্ট বিরতিতে কয়েক সেট স্কোয়াট করার পর আসলে পরবর্তী প্র্যাকটিসের পালা। এখন হাতে আছে দুটি এক্সারসাইজ প্ল্যাঙ্ক এবং জগিং। এখানে একটি বিষয় বলে রাখি আমি যেহেতু প্রথম দিকে প্র্যাকটিস করছি এবং আমার নানাবিধ ভুল ত্রুটির ভেতর দিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে তাই আমি সাধারণত জগিং এর মত প্রাকটিস গুলো ইনডোরেই করার চেষ্টা করছি। এবং এই মুহূর্তে আমি একটি নির্দিষ্ট স্থানে করা যায় এমন কিছু এক্সারসাইজই সাধারণত প্র্যাকটিস করছি। তো জগিং যেহেতু উন্মুক্ত জায়গায় করতে হয় তাই আমি জগিং এর পরিবর্তে বেছে নিয়েছি স্টেশনারি জগিং। অর্থাৎ একই স্থানে থেকেই জগিংয়ের মতো করে এক্সারসাইজ করা যাবে।

প্লাঙ্ক ও স্টেশনারি জগিং আমার অভিজ্ঞতাঃ

আমার যেহেতু ইয়োগা ম্যাট নেই তাই মেঝেতেই প্র্যাকটিস করেছি। এলব এবং পায়ের আঙুল এর উপর ভর দিয়ে সজীর সোরা করে রাখতে হবে প্রথমে। কাজ কোমর এবং গোড়ালি একই লাইনে থাকবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পেটের মার্শাল ৩০ সেকেন্ড টাইট করে ধরে রাখতে হবে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস রাখতে হবে। এভাবে প্র্যাকটিস করলাম।

প্লাংক এর উপকারিতাঃ

✅ কোর শক্তি বাড়িয়ে পেট, পিট ও হিপ এর মাসলকে শক্তিশালী করে।

✅ এই প্র্যাকটিস কে নিয়মিত করলে কুঁজো হয়ে বসার অভ্যাস কম হয়।

✅ ব্যাক পেইন কমাতে সাহায্য করে এই এক্সারসাইজ।

পরামর্শঃ প্ল্যাঙ্ক ব্যায়ামটি করতে ধীরে ধীরে সময়ের পরিধি বাড়াতে হবে। প্রথমে ২০ সেকেন্ড থেকে শুরু হলেও তা একসময় ১ মিনিট পর্যন্ত করতে হবে।

স্টেশনারি জগিং কীভাবে করলাম?

করতে হাঁটু উঁচু করে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে দ্রুত দৌড়ানোর ভঙ্গিতে প্র্যাকটিস করতে হয়। হাত দুটো সাধারণভাবে নাড়াচড়া করতে হবে যেন মনে হবে বাইরে প্রকৃতই জগিং করছি। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত এক্সারসাইজ কি করা যেতে পারে মাঝে মাঝে স্পিড বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। মাঝে মাঝে কিছুটা সময়ের জন্য বিরতি নিতে হবে।

স্টেশনারি জগিং এর উপকারিতাঃ

✅ এই প্র্যাকটিসটি করলে রিচ স্পন্দন বেড়ে যায় অনেকটা এবং তার ফলে কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস উন্নত হয়।

✅ প্রাকটিস কে নিয়মিত করলে ক্যালোরি বার্ন হয় এবং ওজন কমতে সাহায্য হয়।

✅ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রাকটিসটি বাইরে না গিয়ে ইনডোরেও করা যায়।

পরামর্শঃ স্টেশনারি জগিং করার সময় আর্ম মুভমেন্ট কে বাড়িয়ে ইন্টেনসিটি বাড়ানো যায়। এবং তা শরীরচর্চার কার্যকারিতা কে আরো বৃদ্ধি করে।

প্লাঙ্ক এবং স্টেশনারি জগিং এই দুটি ব্যায়ামি কোন সরঞ্জাম ছাড়া ঘরে বসে সুবিধামতো সময় করা সম্ভব এবং অল্প সময়েই আমরা এর থেকে ফলাফল পেতে পারি। কোর স্ট্রেংথ এর ভিত্তি গড়তে প্ল্যাঙ্ক এক্সারসাইজটি খুব কাজে দেয়। আর হার্ট এবং ফুসফুসের সহনশীলতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে স্টেশনারি জগিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ১০ম দিনের অভিজ্ঞতাঃ

যতটা সম্ভব স্টেশনারি জগিং এর মতো প্র্যাকটিস ঘরের থেকে প্র্যাকটিস করে বিশেষ অভিজ্ঞতা লাভ করলাম। প্লাঙ্ক এক্সারসাইজ কি কয়েকটি সেট করলাম। প্রথম দিকে একটু কষ্টকর অনুভূতি হলেও আস্তে আস্তে সেটি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। এই দুটি এক্সারসাইজই শরীরচর্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টেশনারি জগিংয়ে কার্ডিও এবং প্ল্যাঙ্ক এ কোর শক্তি বৃদ্ধি এই দুটি মিলে একটি অপূর্ব কম্বিনেশন হল। প্র্যাকটিস শেষে শরীরে এনার্জি এবং মানসিক প্রশান্তি দুটিই পাওয়া গেল।

আজকের মত এই পর্যন্তই। আগামীকালের প্র্যাকটিস নিয়ে আবার কথা হবে। সবার সুস্থ সুন্দর জীবন কামনা করছি।

 

আগের পর্বঃ ৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ৯ম দিনের অভিজ্ঞতা 

ডা. দীপংকর মন্ডল।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ।
১০.০৪.২০২৫

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো পোষ্টঃ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com