শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন

৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ৪র্থ দিনের অভিজ্ঞতা

ডা. দীপংকর মন্ডল
  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৩৫ বার দেখা হয়েছে
শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ৪
শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ৪

৩০ দিন শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ৪র্থ দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি এখন। গতকাল যখন শরীরচর্চা শুরু করেছিলাম তখন সমস্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যথা ছিল। কমবেশি ব্যথাটা আজকেও আছে। আমার কাছে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ছিল। এই ক্ষেত্রে ব্যথা কমানোর জন্য কিন্তু আমি সে ঔষধ সেবন করিনি। কেননা যেহেতু আমি টিউটোরিয়াল আকারে এই প্র্যাকটিসগুলো আমার ব্লগে পোস্ট করছি তাই যদি কেউ অনুপ্রাণিত হয়ে এভাবে শরীরচর্চার চেষ্টা করে সে ক্ষেত্রে একটা সময়ে তারও শারীরিক কিছু ব্যথা অনুভব হবে। কিন্তু সেই ব্যক্তি হয়তো ঔষধ খাবেনা। তাহলে আমার অভিজ্ঞতা আর তার অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিল হবে না। এই কারণেই আমি ঔষধ সেবন করা এড়িয়ে গেছি।

শরীর চর্চা চ্যালেঞ্জ ৪র্থ দিনের অভিজ্ঞতাঃ

শরীরচর্চা শুরুঃ ঘড়িতে এখন ৭টা বেজে ১৫ মিনিট। শুরুটা নিয়মিতভাবে যেভাবে ওয়ার্ম আপ দিয়ে হয় সেভাবেই শুরু করলাম। ওয়ার্ম আপ এর ভেতর Jumping jacks, High knees, Butt kick এই তিনটি প্রাকটিস অভ্যাস করলাম। এরপর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে স্কোয়াট শুরু করলাম overweight squat দ্বারা। ওভার ওয়েট স্কোয়াট তটির কয়েকটি সেট করলাম। এরপর প্লাঙ্ক ব্যায়াম এর অনুশীলন করলাম। প্লাঙ্ক নির্দিষ্ট বিরতিতে কয়েক সেট অনুশীলন করলাম। সামান্য বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। যেহেতু প্রাথমিক অবস্থায় আমি একটি রুমের ভেতরেই এক্সারসাইজ গুলো প্র্যাকটিস করছি তাই এখানে জগিং করার মত পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। তাই এক জায়গায় দাঁড়ায় জগিং করার মত কিছুটা সময় প্র্যাকটিস করলাম। এরপর সামান্য বিশ্রাম নিয়ে দুই গ্লাস পানি পান করলাম।

বডিওয়েট স্কোয়াট কিভাবে করতে হয়?

পায়ের পজিশনঃ বডি ওয়েট স্কোয়াট করার সময় এমন ভাবে স্টেইট বা সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে যেন দুটি পা হিপ ও কোমর বরাবর সোজা থাকে। পায়ের পাতা এবং আঙ্গুলগুলো সোজা রাখতে হবে।

শরীরের পজিশনঃ শরীরটা স্ট্রেইট সোজা থাকবে। পায়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাঁধ এবং কোমরকে একই সমান্তরাল ভাবে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।

হাতের পজিশনঃ স্কোয়াট করার সময় আমাদের দুই হাত সামনের দিকে যতটা সম্ভব সম্প্রসারিত করতে হবে এবং স্টেজ সোজা রাখতে হবে। কেননা এভাবে হাতের পজিশন থাকলে বডিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্রিয়াঃ সঠিক পজিশনে দাঁড়ানোর পর যখন আমরা স্কোয়াট শুরু করব তখন শ্বাস নিয়ে অর্থাৎ Breath in(এটাকে breathing the core বলে)করে নিচে নেমে পজিশনে থাকবো। এরপর আবার যখন ফিরে পূর্বের জাগায় ফেরত আসবো তখন শ্বাস ত্যাগ করব বা Breath out করবো।

পূর্ণাঙ্গ প্রাকটিসঃ ফুল রেঞ্জ অফ মোশনে ব্যায়ামটি করতে হবে। অপূর্ণাঙ্গ বা অর্ধ স্কোয়াট করা যাবে না। কেননা অপূর্ণাঙ্গ বা অর্থ স্কোয়াট করলে ফলাফল ভালো হবে না।

বডিওয়েট স্কোয়াট এর উপকারিতাঃ

আমাদের লোয়ার বডির যত গুরুত্বপূর্ণ মাসেল আছে বডিওয়েট স্কোয়াট দ্বারা সেই সবগুলো মাসেল এর এক্সারসাইজ হয় এবং তারা আরো অধিক শক্তিশালী হয়। এছাড়াও বডিওয়েট স্কোয়াট শরীর চর্চার কৌশলটি যথাযথভাবে শিখতে পারলে অন্যান্য অনেক এক্সারসাইজ এর ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। মাসেল এর এক্সারসাইজের পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরের ক্যালরি বাড়িয়ে আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে। শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়াও এই স্কোয়াট হাঁটু এবং পিঠের এক্সারসাইজের মাধ্যমে যদি এখানে কোন ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ থাকে সেগুলো দূর করতে সহায়তা করে।

প্লাঙ্ক কিভাবে করতে হয়? এবং প্ল্যাঙ্ক করার উপকারিতা? নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করব।

অবশেষে যখন আজকের শরীরচর্চা পর্ব শেষ করলাম তখন ঘড়িতে ৭টা বেজে ৪৫ মিনিট। অর্থাৎ সর্বমোট মিনিট সময় পার হয়েছে আজকের এক্সারসাইজ পিরিয়ডে।

আজকের অভিজ্ঞতাঃ

এক্সারসাইজ করার শেষে খুব ভালো লাগছিল। যদি খানিকটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তবে শরীর কিছুটা ক্লান্ত হলেও মন একটুও ক্লান্ত হয়নি। শুরুটা মোটামুটি ঠিকঠাক হয়েছে।

আজকে এ পর্যন্তই আগামীকাল আবার কথা হবে।

পূর্ববর্তী পর্ব পড়ুনঃ

পরবর্তী পর্ব পড়ুনঃ

ডা. দীপংকর মন্ডল
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ
০২.০৪.২০২৫

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো পোষ্টঃ
সর্বসত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com