শুঁয়োপোকা গায়ে লাগলে তাৎক্ষণিক কি করবেন?

0
128

আমাদের বাড়ির আনাচে-কানাচে আশেপাশে অনেক জায়গায় শুঁয়োপোকার(Caterpillar) বাস দেখা যায়। শুঁয়োপোকা কে কিছু কিছু অঞ্চলে শুঁয়োকাটা নামেও ডাকা হয়। এই শুঁয়ো পোকার কাটা কিছুটা বিষাক্ত শরীরের কোথাও লাগলে প্রচুর জ্বালাপোড়া চুলকানি ফুলে ওঠা এ জাতীয় উপসর্গ দেখা দেয়।

শুঁয়োপোকা গায়ে লাগলেঃ

দূর্ঘটনাবশত যদি কোথাও কখনো শুঁয়ো পোকার কাটা শরীরে লেগে যায় তখন প্রাথমিকভাবে যে কাজগুলো করলে আমরা অতি দ্রুত এর বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত হতে পারব তা হলঃ

১) পুঁই শাকের পাতা এবং চুনঃ যদি শরীরে কোথাও শুঁয়ো পোকার ‘কাটা’ লেগে যায় তো প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে পুঁই শাকের পাতা রস করে বা থেতলে ওইখানে কয়েকবার ঘষে দিতে হবে। তারপর সেখানে চুন লাগিয়ে দিতে হবে।

শুঁয়োপোকা ছবি
শুঁয়োপোকা ছবি

২) মাথার চুলঃ শুয়োপোকার কাটা লাগা জায়গাটা মাথার চুলে ঘষতে হবে। যদি কাঁটাগুলো এমন স্থানে লাগে যেখানে মাথার চুলে ঘষা সম্ভব নয়, সেখানে মেয়েদের ফেলে দেওয়া চুল দলা করে হাতে নিয়ে ওই স্থানে ঘষতে হবে।

৩) ময়দা মাখাঃ পরাটা তৈরি করতে যেভাবে ময়দা মাখতে হবে। ময়দায় জল দিয়ে আঠা আঠা করে ঐ অবস্থায় সেটি আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তারপর তুলে ফেলতে হবে।

৪) চুন এবং তেতুলঃ বিষাক্ত শুঁয়োপোকা লাগলে সেই স্থানে চুন আর তেঁতুল একসাথে মিশিয়ে লাগাতে হবে। এটি একসাথে মেশানোর সময় খুব গরম হয়ে যায়।

প্রাথমিক অবস্থায় এ সমস্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা যায় এবং তা খুব কার্যকরী হয়। এতে শুয়োকাটা লাগলে সেই স্থানে আর কোন অসুবিধা থাকে না।

এর সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন করলে বিষক্রিয়া জনিত অন্যান্য যে কোন উপসর্গ দ্রুত হ্রাস হয়।

আরো পড়ুনঃ এ্যানাটমী অব টেস্টিস

Previous articleফ্রিজিডিটি এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
Next articleহিরসুটিজম কেন হয়?
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here