সিঁদুরে এলার্জির হোমিও চিকিৎসা নিয়ে বর্তমান সময়ে অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন। আজকের আলোচনাতে আমি সিঁদুরে এলার্জির হোমিও চিকিৎসা সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা করব। চলুন তবে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।
এলার্জির অর্থ প্রবণতা। ইংরেজিতে যাকে বলে tendency. অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় একজন ব্যাক্তি সুস্থ কিন্তু বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে কোন বিশেষ কোনো পারিপার্শ্বিক অবস্থার দ্বারা কোন নির্দিষ্ট রোগের আক্রমণ হলে সেটিকে এলার্জি বলে।
নানা বিষয়ে মানুষের এলার্জি থাকতে পারে, তার ভিতরে একটি হলো সিঁদুরে এলার্জি। হিন্দু বিবাহিতা মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। এই সিঁদুর থেকে অনেকের এলার্জি তৈরি হয়। অর্থাৎ সিঁদুর লাগালে যে সমস্ত মহিলাদের এলার্জি আছে তাদের স্কিন ইরাপশন, চুলকানি, চামড়ায় গুটি গুটি উদ্ভিদ দেখা দেয়।
সিঁদুরে এলার্জির হোমিও চিকিৎসাঃ
হোমিওপ্যাথিতে সবরকম এলার্জির চিকিৎসা আছে। সিঁদুরে এলার্জি হলেও তার জন্য হোমিও চিকিৎসা করা যায়। আর সাধারনত সিঁদুরে এলার্জি রোগ সোরিক মায়াজম থেকে উৎপন্ন। তার সঙ্গে সিফিলিটিক দোষের কম্বাইন্ড থাকতে পারে। তাই চিকিৎসা হবে এন্টিসোরিক এবং এন্টি সিফিলিটক।
ডাঃ রবিন বর্মন স্যার সিঁদুরে এলার্জির ক্ষেত্রে যে চিকিৎসা বা চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা হলোঃ
এর সঙ্গে আমাদের রোগীর কনস্টিটিউশন নিতে হবে। মানসিক ও শারীরিক লক্ষণ মিলিয়ে রোগের সিম্টমস মিলিয়ে, মায়াজমের সাদৃশ্য বিচার করে, রোগীর অতীত ইতিহাস ও বংশ ইতিহাস নিয়ে রোগীর জন্য যে ঔষধ নির্বাচিত হবে তা রোগীকে প্রয়োগ করতে হবে।
এর সঙ্গে কিছু ব্যবস্থাপনা বিবেচনা করা যেতে পারে যেমন যদি কারো সিঁদুরে এলার্জি অতিরিক্ত পরিমাণ থাকে সে ক্ষেত্রে তিনি হারবাল সিঁদুর ব্যবহার করতে পারেন। কেননা আজকাল বাজারে যে সমস্ত সিঁদুর পাওয়া যায় সেগুলো রেড অক্সাইড দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ পারদ এবং সীসার সমন্বয়ে তৈরি। প্রতিদিন একটু স্থানের পরিবর্তন করে সিঁদুর লাগানো যেতে পারে। সিঁদুরের ফোটা টি পরিমাণ ছোট করে দিওয়া যেতে পারে।
'গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে' অথবা আমরা বলে থাকি 'ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে'। আবার কখনো নয়নাভিরাম প্রস্ফুটিত পুষ্পের দিকে তাকিয়ে বলে থাকি 'ফুল ফুটেছে!' এখন...