হাপোথাইরয়েডিজম কিভাবে হয়? এই বিষয়টি নিয়েই আজকের আলোচনা চলুন তবে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।
হাপোথাইরয়েডিজম কিভাবে হয়?
আমাদের মস্তিষ্কে যে হাইপোথ্যালামাস(Hhypothalamus) আছে এটি TRH(Thyrotropin releasing hormone) হরমোন সিক্রেশন করে। এই হরমোনটি মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড(pituitary gland) কে TSH(thyroid stimulating hormone) হরমোন উৎপাদনে উজ্জীবিত করে। এই TSH এসে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কে T3(triiodothyronine) ও T4(thyroxine) হরমোন উৎপাদন করতে উজ্জীবিত করে।
এখন এই পরিস্থিতিতে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যদি সুস্থ থাকে তাহলে রক্তে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে T3 ও T4 হরমোন উৎপাদন করে। কিন্তু যদি থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কোন কারণে অসুস্থ থাকে তবে সে প্রয়োজনীয় পরিমাণে এই হরমোন উৎপাদন করতে পারে না।
ফলে কি হয়?
এইভাবে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড TSH হরমোন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করার ফলেও অসুস্থ থাইরয়েড গ্ল্যান্ড T3 ও T4 হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। এদিকে রক্তে TSH এর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়।
ব্লাড টেস্ট করালে দেখা যায় রক্তে TSH এর লেভেল উচ্চমাত্রায় রয়েছে কিন্তু রক্তে T3 ও T4 হরমোনের উপস্থিতি কম পাওয়া যায়।
এই পরিস্থিতিকেই হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।
আরো পড়ুনঃ যোগাসন এর অনুশীলন করুন জীবন বদলাবেই