তাহলে আপনি ভেবে দেখুন, কি করা উচিত যাতে হার্ট অ্যাটাক না হয়? একজন পেশেন্ট বিমল ছাজেড় স্যারকে জিজ্ঞাসা করল, কি করা উচিত?
তখন বিমল স্যার বললেন,
আপনি বলুন আমাকে, একটা নোটের তোড়া আছে। তাতে রাবার ব্যান্ড লাগানো আছে। আমি নোট ঢুকিয়েই যাচ্ছি। ঢুকিয়েই যাচ্ছি। তাহলে রাবার ব্যান্ডের কি হবে?
রাবার ব্যান্ড ছিড়ে যাবে!
এখন আমাকে বলুন কি করলে রাবার ব্যান্ড না ছেড়ে?
স্যার তাহলে এখন কি আপনি নোট ঢুকিয়েই যাচ্ছেন?
ঢুকিয়েই যাচ্ছি। রাবার ব্যান্ড ছিড়তে পারে।
এখনো ছেড়ে নি?
না। এখনো ছেড়েনি।
তাহলে স্যার এখন নোট ঢোকানো বন্ধ করে দিন।
তার মানে কি? ব্লকেজ বাড়ানো যদি বন্ধ করে দেন তাহলে পর্দাটা ছিড়বে না। হার্ট অ্যাটাক হবে না।
আর ওই পেসেন্ট আর একটা কথা বলেছিল, আরো ভালো হয় যদি কিছু নোট বের করে নেন। যদি কিছু এখান থেকে চর্বি বের করে নেওয়া হয় তাহলে রাবার ব্যান্ড ঢিলে হয়ে যাবে। আর কখনো হার্ট এটাক হবে না। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন হার্ট এটাককে রুখববার জন্য সবথেকে ভালো উপায় কি? ব্লকেজ বাড়ানো বন্ধ করা। আর ব্লকেজটাকে কম করা শুরু করে দেই। তাহলে হার্ট অ্যাটাক কখনো হবে না। এটাকে আমরা বলি Prevention of heart disease.
আর রিভার্সেল মানে ব্লকেজটা কম করা যেতে পারে।
তাহলে হার্টের পেসেন্ট যদি ব্লকেজকে বাড়ায় না, আর কম করতে থাকে রিজার্ভ করতে থাকে রিভার্স করতে থাকে তাহলে ওর হার্ট অ্যাটাকের চান্স একদম শেষ হয়ে যাবে। এখন কি করলে ব্লকেজ না বাড়ে এবং ব্লকেজ রিভার্স হয়?
আচ্ছা এই ব্লকেজটা কি ম্যাটেরিয়াল দ্বারা তৈরি? সেটার সাপ্লাই বন্ধ করে দেব। আপনি বুঝতে পারছেন কত সিম্পল জিনিসটা?
এই যে ব্লকটা আছে সেটি কি দিয়ে তৈরি? কি জিনিস জমে ওখানে?
একটার নাম কোলেস্টেরল আরেকটা হল ট্রাইগিলিসারাইড।
———
কোলেস্টেরল তো খুবই কমন নাম। প্রতিটা মানুষ শুনেছে। কোলেস্টেরল জমে যায় হার্টের ভেতরে। যদি এই দুটো আইটেম আপনার রক্তের ভেতর বেশি থাকে তাহলে ওটা ব্লকেজ তৈরি করবে। তাহলে হার্টের পেশেন্টের প্রথম কি করা উচিত?
এই দুটোকে বোঝা উচিত। আপনার রান্না ঘরের মধ্যে এই দুটো জিনিস যদি থাকে, আর এটা যদি আপনি খান, তাহলে হার্টের ব্লকেজ বাড়তে থাকবে। আর ব্লকেজ যদি বাড়ে একদিন হার্ট অ্যাটাক হবে। তাহলে এখন এই দুটোকে বোঝা যাক- কোলেস্টেরল কি আছে? আর ট্রাইগ্লিসারাইড কি আছে?
Triglycerides ব্যাপারটা কি?
Triglycerides আমাদের সবার ঘরের মধ্যে থাকে। আর এটার বাড়ির নাম, এটার বাসার নাম, তেল। কোন তেল? যত রকম তেল আছে! সয়াবিন তেল হোক, সূর্যমুখী তেল হোক, তিলের তেল হোক এগুলো সহ যত রকমের তেল বাজারে পাওয়া যায় সবগুলোর একটাই নাম Triglycerides । এই ট্রাইগ্লিসারাইড বা তেলটাকে কোথাও জমতে দেখেছেন আপনি? কোথায় দেখেছেন ভাবুন। আপনি কিচেন এর ভেতরে ঢুকে যান, যেখানে গ্যাসের চুলাটা রাখা আছে। পুরো দিন খাবার তৈরি হওয়ার পরে চুলাটার পাশের দেওয়ালে হাত লাগাবেন, দেখবেন হাতটা চিট চিট করছে। এটা তেল জমে গিয়েছে ওখানে। আর আপনি দেখবেন মহিলারা সাবানের জল করে সন্ধ্যাবেলা ওই দেওয়ালটাকে পরিষ্কার রাখে।
একজন ভদ্রমহিলাকে আমি বললাম আপনি এক মাস পর্যন্ত সাফ করবেন না। দেখা গেল লেয়ার বাই লেয়ার তেল জমে যাচ্ছে। আর এই সেইম তেলটা হার্টের ভেতরে যদি জমে যায় আপনি বুঝতে পারছেন কি হবে?
তাহলে কি করনীয়?
১) খাবারে তেল দেওয়া বন্ধ।
২) কোলেস্টেরল বন্ধ করতে হবে।
কোলেস্টরেল একটাই ফুড থেকে পাওয়া যায় তাহলে এনিম্যাল ফুড। কোন প্ল্যান্টফুড এর মধ্যে কোলেস্টরেল থাকে না। প্লান্টফুড মানে কি? যতরকম সবজি, যতরকম ফল, শসা, আনাজ, রুটি, ভাত এগুলোতে কোন কোলেস্টেরল নেই। কেননা ওটা প্লান্ট থেকে তৈরি। যদি এনিম্যাল থেকে তৈরি হয় তবে ওতে কোলেস্টেরল থাকবে।
আচ্ছা এনিম্যাল ফুড কি কি আছে ভাবুন? এনিম্যাল ফুড আছে যতরকম মাংস, যতরকম মাছ, ডিম আর দুধ। এই চারটা জিনিস আমাদের ব্লকেজ বানাতে মদত করে। কারণ কি ওটা এনিম্যাল ফুড full of cholesterol.
তাহলে আমি হার্টের পেশেন্টদের কি রিকোয়েস্ট করব? আমি বলব আপনি অ্যানিমেল ফুড বাদ দিন। তার মানে মাংস বাদ দিন। চিকেন বাদ দিন। মাছ বাদ দিন। আর ডিম বাদ দিন। আপনার মাইন্ড ফ্যাক্টটাকে একটা চেঞ্জ করতে হবে।
সেটা কি?
আমি এনিম্যাল ফুড খাবো না।
দুধে একটা প্রবলেম আছে। দুধে একটা সুবিধাও আছে।
প্রবলেম হল ওতে কোলেস্টেরল আছে। সুবিধা হল সেটাকে বয়েল(সিদ্ধ) করে যদি ঠান্ডা করেন কোলেস্টেরল উপরে গিয়ে জমে যায়। এটাকে সর বলা যেতে পারে। এটাকে সরিয়ে দিন। আবার বয়েল করুন, আবার ঠান্ডা করুন। আরেকটা লেয়ার হবে। দুই তিনটা লেয়ার এভাবে বের করে দেওয়া যায়। তাহলে কিছুটা পরিমাণে দুধটা নেওয়া যেতে পারে।
তাহলে হার্টের পেশেন্টদের কি কি বললাম?
১) কোলেস্টেরল বাদ দিন।
২) ট্রাইগ্লিসারাইড বাদ দিন।
এটা বাদ দিলে হার্টের অসুখটা বাড়ান বন্ধ হয়ে যাবে। আর যদি একদম সাপ্লাই বন্ধ করে দেন তাহলে কি হবে? ব্লকেজটা কমে যাবে।
তাহলে আরেকটা জিনিস বোঝা যাক এই দুটো হল, আমি বলি দুটো সব থেকে বড় ক্রিমিনাল! সব থেকে বড় মার্ডারার। লাখ লাখ লোককে প্রতি বছর এখানে মারে। এই দুটো ক্রিমিনাল আমাদের কিচেনে ঢুকে গিয়েছে। আর কার হেল্প নিচ্ছে?
আমাদের স্ত্রীদের হেল্প নিচ্ছে, আমাদের মায়েদের হেল্প নিচ্ছে, বোনেদের হেল্প নিচ্ছে। কি আপনারা এই দুটো ক্রিমিনাল কে ইউজ করে পেশেন্টকে মারার চেষ্টা করছেন। আমার মনে হয় যে এটা করা উচিত নয়। আমরা চাই এই দুটো কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডকে খাবার থেকে বাদ দিতে।
এখন আবার ভাবা যাব এই দুটো লোক আছে গুন্ডা। এদের আবার টিম আছে নাকি নাই? হ্যাঁ এদের একটা টিম আছে। এই টিমগুলোর নাম হল লিপিড প্রোফাইল।
1) Cholesterol
2) Triglycerides
3) HDL
4) LDL
5) VLDL
6) CHOL:HDL(Cholesterol:HDL রেশিও।
এই ছয়টা আইটেমকে আমরা বলি লিপিড প্রোফাইল। দেখবেন ডাক্তাররা লিখে দেয় লিপিড প্রোফাইল করিয়ে আনবে। তার মানে কি? রক্তের ভেতরে কোন গুণটা কতটা আছে সেটা জানা উচিত। আপনাকে একটা কথা বলে দেই, কোলেস্টেরলটা আমাদের রক্তের ভেতরে ১৩০ থেকে ১৮০ পর্যন্ত থাকা উচিত।
আর হার্টের পেশেন্ট থেকে আমি চাইব সে ১২৯ এনে রাখুক। আর ট্রাইগ্লিসারাইড আমাদের রক্তের ভিতরে ১০০ থেকে ১৬০ পর্যন্ত থাকার কথা। আমি কি চাইবো? ৯৯ এনে রাখুক। যদি এই দুটো আপনি আনতে পারেন, ভালো। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার চান্স খুব কম। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কোন চান্স থাকবে না।
এই দুটো খুব ভালোভাবে মনে রাখুন কোলেস্টেরল 130 থেকে কম- ১৩০ থেকে ১৮০
আর ট্রাইগ্লিসারাইড ১০০ থেকে কম, ১০০ থেকে ১৬০
এই দুটো আনবার জন্য বিনা তেলে রান্না খেতে হবে। আর তার সাথে কোলেস্টেরলের জন্য যত রকম এনিম্যাল ফুড আছে বাদ দিতে হবে। প্লান্ট ফুড খেয়ে বাঁচতে হবে। তাহলে আমাদের কাজ হয়ে যাবে।
এর সঙ্গে আরও একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। একটা গুড কোলেস্টেরল আছে এর মধ্যে। গুড কোলেস্টেরল হল HDL কোলেস্টেরল। এটা বাজারে পাওয়া যায় না। এটা কোলেস্টেরলকে মদদ না করে কোলেস্টেরলকে কম করার চেষ্টা করে। এই HDL টাকে আপনি বাড়াতে চাইলে আপনাকে হাঁটতে হবে। প্রতিদিন হাঁটবেন তাহলে HDL বাড়বে। আর যদি আপনি খাবারে গ্রিন ভেজিটেবল খাবেন, টেনশন টা কম করবেন তাহলে HDL বাড়বে। তাহলে HDL কে বাড়াতে হবে আর বাকিগুলোকে কমাতে হবে। আর এই LDLটাকে ব্যাড কোলেস্টেরল বলা হয়। এটা ৭০ এর উপরে থা থাকাটা খুবই ডেঞ্জারাস। ৭০ থেকে কম রাখবেন তাহলে হার্টের অসুখ হবে না।
এনিওয়ে এই যে ব্লকেজ এর কারণগুলো আপনাকে বোঝালাম। এই যে ছয়টা লিপিড প্রোফাইল(Lipid profile) যেগুলোকে বলা হয় এদেরকে হেল্প করার জন্য আরো ছয়জন আছে। যারা বলে, আপনারা ব্লকেজ বাড়ান আমরা সঙ্গ দেব। এরা ব্লকেজ বাড়াতে প্রচুর মদত করে। তাদের নাম হলোঃ
১) ব্লাড প্রেসার (BP)
২) ডায়াবেটিস (DM)
৩) ধুমপান।
৪) এলকোহল
৫) ওভার ওয়েট।
৬)
এই ব্লাড প্রেসার আর ডায়াবেটিস এই দুটো হার্টের ব্লকেজ বানাতে প্রচুর পরিমাণে হেল্প করে। আর তার সাথে হলো স্মোকিং, তামাক, ধুমপান। এটিও ব্লকেজ বানাতে খুব মদত করে। আর তার সাথে অ্যালকোহল(মদ)। আরেকটা হলো ওভার ওয়েট। আরেকটা লাস্ট হলো মেন্টাল স্ট্রেস-মানসিক চাপে। এই ছয়টা কারণে আমাদের ব্লকেজ আবার বাড়ে।
যদি হাই ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে ব্লকেজ টাকে বাড়াবার চেষ্টা করবে। যদি হাই সুগার থাকে তাহলে ব্লকেজ বাড়ানোর চেষ্টা করবে। আর এই দুটোকে কন্ট্রোল করা খুবই দরকার।
তাহলে আমি চাইঃ হার্টের পেশেন্টের জানা উচিত ওর ব্লাড প্রেসার কখনো ১২০ এর উপরে যাবে না। আর নিচের প্রেশার টা ৮০ এর উপরে যাতে না যায়। আর এর জন্য কি করতে হবে? এর জন্য, হার্টের জন্য যা যা করতে হবে সেগুলোই করতে হবে। একটা এক্সট্রা কাজ করতে হবে সেটা হলো লবণটা একটু কম খাবে। টেনশন কম করতে হবে তার জন্য। Walking করতে হবে। ওজন কমাতে হবে। আর এগুলো করলে ব্লাড প্রেসার কমে যায়।
আর তার পরেও যদি কন্ট্রোল না হয় ঔষধ খাক আমার কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু ১২০ আর ৮০ ব্লাড প্রেসার রাখতে হবে যদি আপনি ব্লকেজ রুখতে চান। ব্লাড প্রেসারের সঙ্গে ব্লাড সুগার টাকে কম রাখতে হবে। আজকাল সুগার এর রোগী প্রচুর বেড়ে যাচ্ছে। হার্টের অসুখকে এটা খুব বাড়িয়ে দেয়। ৫.৫ রাখতে হবে Fasting. আর ৭.৭ লাখ তবে PP(খাবারের পরেরটা)।
এই দুটো যদি আপনি রাখেন হার্টের অসুখটাকে রোখা যেতে পারে। কিন্তু যদি সুগার আপনার কন্ট্রোলে না থাকে, আপনি ফাসতে যাচ্ছেন। ব্লকেজ বাড়বে একদিন। হার্ট এটাক হবে। তার সঙ্গে স্মোকিং বা জর্দা, গুটকা এসব যতরকম তামাক সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর তামাক বন্ধ করার জন্য আমি একটাই এডভাইস দেই লোককে। কি? এক মিনিটে বন্ধ করুন। যদি আপনি ভাবেন ধীরে ধীরে বন্ধ করব, এটা কখনো সম্ভব না। একসঙ্গে বন্ধ করতে হবে। ভাববেন আজ থেকে ছেড়ে দিলাম-ছেড়ে দিলেন। এটাই হল বেস্ট ওয়ে। আর তার সঙ্গে অ্যালকোহল বন্ধ করুন। আর যদি ওভার ওয়েট আছে সেই ওজনটাকে কম করতে হবে। যারা বেশি ভাত বা রুটি খায় তাদের ওজন বেশি বেড়ে যায়। আর এগুলো বন্ধ করতে হবে। যতটা কম করবেন তত ওজনটা কম হতে থাকবে। আর তার সঙ্গে যেটা দরকার হল টেনশনটাকে বা মানসিক চাপটাকে কন্ট্রোল করতে হবে। মানুষের চাপ আজকাল খুব ইম্পরট্যান্ট হয়ে গিয়েছে। এই মানসিক চাপটাকে কম করতে হবে। আপনি মনে রাখবেন, মানসিক চাপ আজকাল হার্টের অসুখের বড় কারণ হয়ে গিয়েছে।
কারন কি, মানসিক চাপ থাকলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাবে। মানসিক চাপ থাকলে ডায়াবেটিস বাড়বে। মানসিক চাপে স্মোকিং বাড়বে। মানসিক চাপে অ্যালকোহল বাড়বে। খাবারে কন্ট্রোল থাকবে না। ওজন বাড়বে। আর মানসিক চাপ থেকে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কন্ট্রোল হয় না। তাহলে- আজকের দিনে দেখা যাচ্ছে, মানসিক চাপটা হার্টের অসুখের খুব বেশি বড় কারণ হয়ে যাচ্ছে। আর এই মানসিক চাপকে কম করা খুবই দরকার।
মানসিক চাপটা পুরোভাবে কন্ট্রোল করা যায় না। কিন্তু ৫০% এ যদি এনে দিন তাহলে আমাদের অনেক ফয়দা হয়ে যাবে। তাহলে মানসিক চাপটাকে কম রাখতে হবে।
মানসিক চাপ কম করতে-
1) Yoga
2) Meditation
ইত্যাদি অনুশীলন করতে হবে।
এই ১২ টা কারণ এখন আমাদের হার্টের অসুখের।
এর পরের পর্বঃ
আমার মন্তব্যঃ
হার্ট এটাক ও হার্টের ব্লকেজ রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিভাবান চিকিৎসক ডা. বিমল ছাজেড় এর এই উদ্যোগ ও কর্ম প্রচেষ্টা সত্যিই মহত্ব ও প্রশংসার দাবিদার। উনার পরামর্শ গুলো আমরা যদি উপলব্ধি করতে পারি এবং যথাসম্ভব মেনে চলতে পারি তবে আমাদের হার্টের এই সকল রোগই হবেনা আশা রাখা যায়।