হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা মহাত্না হানিমানের আবিষ্কৃত একটি বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। হোমিওপ্যাথির ৭টি মৌলিক নীতির উপর এই কল্যাণকর চিকিৎসা ব্যাবস্থাটি প্রতিষ্ঠিত। নিম্নে হোমিওপ্যাথি যে ৭টি মৌলিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত তা আলোচনা করা হলোঃ
হোমিওপ্যাথির ৭টি মৌলিক নীতিঃ
১) ক্রনিক রোগ এর নীতিঃ ক্রনিক রোগ সৃষ্টিতে মায়াজম দায়ী। মহাত্মা হ্যানিম্যান এটি উপলব্ধি করলেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা অর্গাননে প্রকাশ করলেন যে, যাবতীয় চিররোগ সোরা, সিফিলিটিক ও সাইকোটিক এই তিনটি মায়াজম দ্বারা সৃষ্ট।
২) জীবনীশক্তির নীতিঃ মহাত্মা হ্যানিম্যান প্রথম প্রকাশ করলেন যে, আমাদের শরীরের কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয় না। পক্ষান্তরে আমাদের জীবনীশক্তি বাহ্যিক অশুভ সূক্ষ্ম রোগশক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়। তখন জীবনীশক্তি রোগাক্রান্ত হয়ে, শরীরে বিভিন্ন রোগ লক্ষণ প্রকাশ এর দ্বারা সাহায্য চায়।এজন্যই হোমিওপ্যাথিতে বলা হয় যে বাহ্য রোগলক্ষণ জীবনীশক্তির সাহায্য চাওয়ার ভাষা।
৩) সহজবোধ্য নীতিঃ হোমিওপ্যাথিতে রোগীকে চিকিৎসাকালীন একবার একটিমাত্র শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে একাধিক শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ করলে একটি ঔষধ আরেকটিকে কাজ করতে বাধা দেয়। এটি সহজবোধ্য নিতি।
৪) ক্ষুদ্র মাত্রা নীতিঃ ঔষধ কে যতদূর সম্ভব ক্ষুদ্রতম মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
৫) ওষধ প্রুভিং নীতিঃ প্রতিটি ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষিত হতে হবে।
৬) ঔষধ প্রয়োগ নীতিঃ ট্রাইটুরেশন, সাক্কাশন ইত্যাদি দ্বারা ঔষধ শক্তিকৃত করে রোগীকে প্রয়োগ করতে হবে।
৭) সদৃশ বিধানঃ সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে এটি এই নীতির বিষয়বস্তু। অর্থাৎ যে ঔষধ নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবনে শরীরে কোন রোগ লক্ষণ প্রকাশিত হয়, প্রাকৃতিক নিয়মে ঐ ঐ লক্ষণে উক্ত ঔষধ সেবনে ওই রোগ আরোগ্য হয়।
উপরোক্ত আলোচনায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সাতটি মৌলিক মূলনীতি আলোচিত হয়েছে।
উপরিউক্ত হোমিওপ্যাথির মৌলিক ৭টি নীতি একটি লাইনে মনে রাখার কৌশলঃ-
ক্রনিক রোগে, জীবনী শক্তিতে, সহজবোধ্য নীতিতে, ক্ষুদ্র মাত্রায়, প্রুভিংকৃত, ঔষধ প্রয়োগের নীতিই, সদৃশ বিধান।
এই একটি লাইন এর ভিতরে সাদৃশ্য চিকিৎসার ৭টি মৌলিক মূলনীতি স্থান পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায় হোমিওপ্যাথি