Epistaxis হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

0
447

Epistaxis কাকে বলে ?

সাধারণত নাকের ছিদ্র দ্বারা যে কোন প্রকার রক্তক্ষরণ হলে সেটিকে মেডিকেলের ভাষায় epistaxis বা nose bleeding বলে। নাকের যেকোনো একটি ছিদ্র বা উভয় নাসারন্ধ্র থেকেই রক্তক্ষরণ হতে পারে।

Epistaxis এর কারণঃ

নাকের ভেতর বা ওই বরাবর যদি কোন blood vessel ছিড়ে যায় তাহলে সেটি থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। এটি সাধারণত কোন প্রকার Injury বা আঘাত, কোন রাসায়নিকের বিষক্রিয়া, infection, blood vessels এর দুর্বলতা, hemorrhagic diathesis, উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণ, এছাড়াও আরো যে কোন কারনেই নাক থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতকালেই এই এপিসট্যাক্সিস হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি কেননা এই সময় নাকের ভেতরে শুষ্কতার কারণে এটি হতে পারে। তবে উপযুক্ত কারণ সাপেক্ষে যে কোন সময়ই এটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Epistaxis ছবি
Epistaxis ছবি

এপিসট্যাক্সিস এর লক্ষণঃ

যেকোনো একটি বা উভয় নাসারন্ধ্র থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এছাড়াও থুথুর সাথে, কাশির সাথে এবং বমির সাথে রক্তপাত হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে বারেবারে এভাবে রক্তক্ষরণ হতে হতে অনেক সময় anaemia বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।

এপিসট্যাক্সিস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

সামগ্রিক কেস টেকিং করে লক্ষণ সাদৃশ্যে যেকোনো ঔষধই আসতে পারে।
aconite, sabina, phosphorus, ipicac, ইত্যাদি যেকোনো ঔষধই হতে পারে।

এপিসট্যাক্সিস এর ব্যবস্থাপনাঃ

রক্তক্ষরণ কালীন হাতের আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে নাকটি কিছুক্ষণ যাবৎ চেপে রাখতে হবে যাতে রক্তক্ষরণ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে হতে থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ যক্ষা রোগের বিস্তারিত এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

Previous articleহোমিওপ্যাথির পরম্পরা ১ম পর্ব
Next articleCystitis এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা
Dr. Dipankar Mondal
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী রোগীর সামগ্রীক লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দ্বারাই জটিল, কঠিন ও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। জীবনযাপনের ভুল অভ্যাস থেকে সৃষ্ট রোগ, সংযম ব্যতীত শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের দ্বারা প্রতিরোধ বা আরোগ্যের আশা করা বাতুলতা মাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here