H Pylori (এইচ পাইলোরি) সম্বন্ধে
H Pylori(Helicobacter pylori) এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা পেটের ভেতর সাধারণত পাকস্থলীতে পাওয়া যায়। গড়পড়তা হিসেবে ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্যক্তির পেটের ভিতর এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যাবে। তবে এটি সাধারণত সবার ক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে না। যে সমস্ত ব্যক্তির ভেতর সিফিলিটিক মায়াজমের আধিক্য যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান তাদের ক্ষেত্রেই শুধু এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে আলসার বা ক্ষত বা যেকোন ধরণের infection সৃষ্টি করে থাকে।
ব্যাকটেরিয়াটির পরিচয়ঃ
ব্যাকটেরিয়া টি সম্পূর্ণ নাম Helicobacter pylori বা সংক্ষেপে H Pylori. আগে এটির নাম ছিল, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার পাইলোরি। 1982 সালে অস্ট্রেলিয়ার ডাঃ. ব্যারি মার্শাল ও রবিন ওয়ারেন। 2005 সালে যারা নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তাদের এই মহান আবিষ্কারের জন্য।এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে কি অসুবিধা দেখা দেয়ঃ
এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে সাধারণত তেমন কোন Symptoms দেখা যায়না। যতক্ষন পর্যন্ত না এরা কোন ulceration তৈরি করে ততক্ষণ এই ব্যাক্টেরিয়া পেটের ভিতর বাসা বেঁধে থাকা অবস্থায়ও একজন ব্যক্তি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে থাকে । আবার অনেকের ক্ষেত্রেই এরা আলসার বা ক্ষত তৈরি করে থাকে। এটি দ্বারা পাকস্থলীর আলসার রোগ হয়ে থাকে ও অনেক ক্ষেত্রে এটি ক্যান্সার রোগও সৃষ্টি করে থাকে।
H Pylori ব্যাকটেরিয়া বিষয়ে পূর্ব ধারণাঃ
আগে এক সময় ধারণা ছিল যে পাকস্থলীতে যেহেতু অম্ল উপাদানের আধিক্য থাকে আর তাই হাইড্রোক্লোরিক এসিডের উপস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়া সেখানে বাঁচতে পারে না। কিন্তু বাস্তবে সেটি ঠিক নয়। ব্যাকটেরিয়া সেখানে সুন্দরভাবে জীবনযাপন বংশবৃদ্ধি ও শরীরের নতুন রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে অনায়াসে।
এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সাধারণ উপসর্গঃ
এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে বিশেষ করে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে সেখানে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে অনেক সময় ওই এসিডের অম্লীয়তার কারণে পাকস্থলীতে ক্ষতভাব সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ এই ব্যাকটেরিয়ার দ্বারাই পাকস্থলীতে আলসারের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
আরো যে সমস্ত লক্ষণ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের ফলে প্রকাশ পেতে পারেঃ
১) পেট ব্যথা ও পেট ফোলা ভাব।
২) মাঝে মাঝে বমির ভাব ও বমি।
৩) ঢেকুর ওঠা ও হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।
৪) রক্তশূন্যতা।
প্যাথলজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ও রোগ নির্ণয়ঃ
চিকিৎসক সাধারণত রুটিন চেকআপ এর পাশাপাশি রোগীকে GRD(gastro-oesophageal reflex) পরীক্ষা করতে বলতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ওসিডি এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা